ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে দিশেহারা কৃষক! এমন ‘ভয়ঙ্কর’ শিলাবৃষ্টি কেউ আগে দেখেনি


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৩০, ২০২৫, ৭:৩১ পূর্বাহ্ণ /
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে দিশেহারা কৃষক!  এমন ‘ভয়ঙ্কর’ শিলাবৃষ্টি কেউ আগে দেখেনি

দুপুরেও সোনালী ধানের শীষ দুলছিলো বাতাসে। শুধু কেটে ঘরে তোলার অপেক্ষায় ছিল কৃষক আর নতুন ধান নিয়ে ছিল তাদের নানা স্বপ্ন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই যে সব শেষ হয়ে যাবে ধারণা করেনি কেউ। শুধু ধান ক্ষেত নয়, পাট,পটল বরবটি, উচ্ছেসহ সবজি ক্ষেত লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। প্রচণ্ড শিলা বৃষ্টি ও ঝড় মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে সব স্বপ্ন। যশোর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সোমবারের শিলাবৃষ্টিকে ভয়ঙ্কর বলে উল্লেখ করেছেন এলাকাবাসী। বয়স্করা বলেছেন এমন শিলাপাত আগে দেখেনি তারা।

যশোর সদরের হৈবৎপুর, কাশিমপুর, চুড়ামনকাটি এবং চৌগাছার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায় ক্ষয়ক্ষতির করুণ দৃশ্য। কথা হয় সদরের হৈবতপুর ইউনিয়নের রসুলপুর, বেনেয়ালি, হাপানিয়া লাউখালী, ভাগলপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

রসুলপর গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা গেছে কৃষক আব্দুর রব ঝরে পড়া ধান মাঠ থেকে ঝাড়ু দিয়ে কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানান, হঠাৎ কয়েক মিনিটের ঝড়ে তাদের ধানসহ সকল আবাদি ফসল মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। তার সাথে ছিল প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি। প্রতি বিঘায় ৩০/৩৫ মন ধান হওয়ার কথা থাকলেও এখন ৫/১০ মন ধানও পাওয়া যাবেনা। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে শিলার আঘাতে ঘরের টিনগুলো একবারে ঝঁঝরা হয়ে গেছে। যা এখন আর বসবাসের যোগ্য নেই।

একই গ্রামের আব্দুর রহমানের পটল ক্ষেত পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি জানান, শুধু আমার না এলাকার শত শত কৃষকের সব আবাদ কয়েক মিনিটের ঝড়-শিলে মাটির সাথে মিশে গেছে। তার ৭৫ বছরের জীবনে এমন শিলা বৃষ্টি হতে দেখেনি এলাকায়।

বাবর আলী নামে এক কৃষক জানান, আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। পাট ও পটল পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে। ধান ৮০ শতাংশ ঝরে পড়ে গেছে।
চুড়ামনকাটি আর্দশপাড়ার হতদ্ররিদ্র আনোয়ারের ঘর একেবারেই শেষ। তার মা আমেনা বেগম জানান, শিলায় আমাদের ঘরের সব টিন ফুটো হয়ে গেছে। আমরা এখন অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।

বড় হৈবতপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার জানান, শিলায় তার ঘরের ছাউনির সব টিন নষ্ট হয়ে গেছে। ঘরের সকল মালামাল এমনকি বাচ্চাদের বই খাতা সব পানিতে ভিজে গেছে। নিরুপায় হয়ে প্রতিবেশির বাড়িতে মালামাল উঠিয়ে আমরা রান্না ঘরে তিন সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।

এমন চিত্র যশোর চৌগাছা উপজেলা জুড়েও। গোটা উপজেলায় ইরি ধান চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চৌগাছা উপজেলার সলুয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের মাঠে অধিকাংশ ধান মাটির সাথে মিশে গেছে। এছাড়াও শিলার কারণে ধান ঝরে পড়েছে মাটিতে।

মাঠে গিয়ে দেখা গেছে নিজেদের ধান বাড়িতে নিতে পুরুষের পাশাপশি বাড়ির মহিলারাও ব্যস্ত সময় পার করছে। দুপুরেও সোনালী ধানের শীষ দুলছিলো বাতাসে। শুধু কেটে ঘরে তোলার অপেক্ষায় ছিল কৃষক আর নতুন ধান নিয়ে ছিল তাদের নানা স্বপ্ন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই যে সব শেষ হয়ে যাবে ধারণা করেনি কেউ।

শুধু ধান ক্ষেত নয়, পাট,পটল বরবটি, উচ্ছেসহ সবজি ক্ষেত লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। প্রচণ্ড শিলা বৃষ্টি ও ঝড় মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে সব স্বপ্ন। যশোর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সোমবারের শিলাবৃষ্টিকে ভয়ঙ্কর বলে উল্লেখ করেছেন এলাকাবাসী। বয়স্করা বলেছেন এমন শিলাপাত আগে দেখেনি তারা।

যশোর সদরের হৈবৎপুর, কাশিমপুর, চুড়ামনকাটি এবং চৌগাছার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায় ক্ষয়ক্ষতির করুণ দৃশ্য। কথা হয় সদরের হৈবতপুর ইউনিয়নের রসুলপুর, বেনেয়ালি, হাপানিয়া লাউখালী, ভাগলপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

রসুলপর গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা গেছে কৃষক আব্দুর রব ঝরে পড়া ধান মাঠ থেকে ঝাড়ু দিয়ে কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানান, হঠাৎ কয়েক মিনিটের ঝড়ে তাদের ধানসহ সকল আবাদি ফসল মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। তার সাথে ছিল প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি। প্রতি বিঘায় ৩০/৩৫ মন ধান হওয়ার কথা থাকলেও এখন ৫/১০ মন ধানও পাওয়া যাবেনা। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে শিলার আঘাতে ঘরের টিনগুলো একবারে ঝঁঝরা হয়ে গেছে। যা এখন আর বসবাসের যোগ্য নেই।

একই গ্রামের আব্দুর রহমানের পটল ক্ষেত পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি জানান, শুধু আমার না এলাকার শত শত কৃষকের সব আবাদ কয়েক মিনিটের ঝড়-শিলে মাটির সাথে মিশে গেছে। তার ৭৫ বছরের জীবনে এমন শিলা বৃষ্টি হতে দেখেনি এলাকায়।

বাবর আলী নামে এক কৃষক জানান, আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। পাট ও পটল পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে। ধান ৮০ শতাংশ ঝরে পড়ে গেছে।
চুড়ামনকাটি আর্দশপাড়ার হতদ্ররিদ্র আনোয়ারের ঘর একেবারেই শেষ। তার মা আমেনা বেগম জানান, শিলায় আমাদের ঘরের সব টিন ফুটো হয়ে গেছে। আমরা এখন অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।

বড় হৈবতপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার জানান, শিলায় তার ঘরের ছাউনির সব টিন নষ্ট হয়ে গেছে। ঘরের সকল মালামাল এমনকি বাচ্চাদের বই খাতা সব পানিতে ভিজে গেছে। নিরুপায় হয়ে প্রতিবেশির বাড়িতে মালামাল উঠিয়ে আমরা রান্না ঘরে তিন সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।

এমন চিত্র যশোর চৌগাছা উপজেলা জুড়েও। গোটা উপজেলায় ইরি ধান চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চৌগাছা উপজেলার সলুয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের মাঠে অধিকাংশ ধান মাটির সাথে মিশে গেছে। এছাড়াও শিলার কারণে ধান ঝরে পড়েছে মাটিতে। মাঠে গিয়ে দেখা গেছে নিজেদের ধান বাড়িতে নিতে পুরুষের পাশাপশি বাড়ির মহিলারাও ব্যস্ত সময় পার করছে।