প্রধান উপদেষ্টা বাসভবন যমুনার সামনে রাতভর অবস্থান


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : মে ৯, ২০২৫, ৯:১৬ পূর্বাহ্ণ /
প্রধান উপদেষ্টা বাসভবন যমুনার সামনে রাতভর অবস্থান

আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ এখনো চলছে।

আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ এখনো চলছে।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত রাত দেড়টার দিকে তাদের অবস্থান চলমান ছিল। এর আগে রাত একটার দিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবনের সামনে জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে যমুনার সামনে আসেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে রাত ১০টার পর থেকেই অবস্থান করছেন এনসিপি মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহসহ কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী।

সকালে যমুনার সামনে আসেন জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

জাতীয় নাগরিক পার্টি ও ইসলামী ছাত্র শিবির ছাড়াও যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই ঐক্য, আপ বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থী, ইনকিলাব মঞ্চ, ছাত্র পক্ষের নেতাকর্মীরা।

এতে উপস্থিত আছেন- এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, আপ বাংলাদেশের আলী আহসান জুনায়েদ, রাফে সালমান রিফাত, মোহাম্মদ হিযবুল্লাহ, শিবিরের দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, ইনকিলাব মঞ্চের শরীফ ওসমান হাদি প্রমুখ।

এ ছাড়া, অংশ নিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তাসনীম জারা, যুগ্ম আহবায়ক মনিরা শারমিন, নুসরাত তাবাসসুম, তাজনূভা জাবীন, সারোয়ার তুষার প্রমুখ।

ছাত্রসংগঠনের মধ্যে অংশ নিয়েছেন, সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সদস্যসচিব জাহিদ আহসান, জুলাই ঐক্যের এবি জুবায়ের, মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ প্রমুখ।

যমুনার সামনে নিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত যমুনার সামনে থেকে উঠবো না। প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা আপনাকে সম্মান করি। যতক্ষণ না পর্যন্ত ঐ গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রদ্রোহী, সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা না করছেন এবং নিষিদ্ধ না করছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ এখান (যমুনার সামনে) থেকে উঠবো না।

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার আশ্বাসকে ‘প্রহসন’ বলে আখ্যা দিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, মূল দল আওয়ামী লীগকেই সন্ত্রাসী ও ফ্যাসিস্ট সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ করতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আপনারা আমাদের গুলি করে থামাতে পারবেন না, আমাদের এই জীবন আমরা ওয়াক্‌ফ করে দিয়েছি এই বাংলাদেশকে। যখন আমরা জুলাইয়ে রাস্তায় নেমেছিলাম, তখন আমরা সকল শক্তি জুলাইয়ের পক্ষে আমাদের জীবনটাকে ওয়াক্‌ফ করে দিয়েছিলাম। আমাদের মধ্য মত পার্থক্য থাকবে, কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক বলেন, জুলাইয়ের পক্ষের সব শক্তি, আমরা এই জীবনটাকে বাংলাদেশের জন্য দিয়েছিলাম। যতক্ষণ না পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে এখানে থাকবো।