যশোরের আরবপুর দিঘীরপাড়ায় একটি মাদ্রাসায় ৯ বছরের শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করে একই মাদ্রাসার আরেক ছাত্র। বলাৎকারের খবর জানাজানি হলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে গেছে অভিযুক্ত ছাত্র রকিবুল ইসলাম রনি(২১)। রনি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার চিকনা মনোহর গ্রামের রাশেদ মিয়ার ছেলে। ঘটনার পরই পালিয়ে গেছে রনি।
রনির পক্ষ নেয়া ও পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগে ওই মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তারা হলেন, যশোর সদর উপজেলার দাইতলা গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে ফয়সাল ও ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার পূর্বঘাট গ্রামের নাজমুল হকের ছেলে কামাল হোসেন। স্থানীয় ও প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে বেলা ১১ টায় ওই মাদ্রাসার নিয়ম অনুসারে একটি রুমে থাকা ১৬ জন ছাত্রের সকলেই ঘুমিয়ে পড়ে।
রুমের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় সকলে ঘুমিয়ে পড়লেও জেগে থাকে রনি। সে বাইরে থেকে এসে রনি ওই ছাত্রকে বলাৎকার করে। পরে রুম থেকে বের হয়ে যায় রনি। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে সকল ছাত্ররা স্থানীয়দের নিয়ে ওই মাদ্রাসা ঘেরাও করে। রনিকে ধরে পুলিশে সোপর্দের চেষ্টা করে। কিন্তু ওই দুই শিক্ষক কৌশলে রনিকে হেফাজতে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন।
এক পর্যায় স্থানীয় জনতা ৯৯৯ এ কল করে থানা পুলিশের হাতে তাদেরকে সোপর্দ করে। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত বলেন, খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে হাজির হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। স্থানীয় জনতা ও কর্তৃপক্ষ ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। যা তদন্তে প্রমাণ পায়। এক পর্যায় তাদেরকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :