সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে সকালের উপস্থিতি
রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ শনিবার বেলা ২টায় জাতীয় সমাবেশ করবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সাত দফা দাবি আদায়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রস্তুতি, প্রচার ও মাঠপর্যায়ের ব্যাপক কাজ করেছে জামায়াতে ইসলামী। এ সমাবেশে ১০ লাখের বেশি মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় দলটি।
তবে সমাবেশ শুরু হওয়ার দীর্ঘ সময় আগেই লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। উদ্যানেই ফজরের নামাজে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশাল জামাত।
সমাবেশ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে দলটি। ব্যানার, ফেস্টুন, নিয়মিত মিছিল, সমাবেশ, লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করছে দলটি। সরেজমিন রাজধানীর পল্টন, শাহবাগ, মালিবাগ, মিরপুর, বাড্ডা, মহাখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়। মাঠ পরিদর্শন করে দেখা গেছে, স্টেজ নির্মাণ, ওজু, টয়লেট নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করেছে দলটি।
সমাবেশ থেকে সাত দাবি জানাবে জামায়াত : সমাবেশে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলে ধরবে জামায়াত। দাবিগুলো হলো- ১. ২০২৪ সালের ৫ আগস্টসহ পূর্ববর্তী গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করা। ২. রাষ্ট্রের সর্বস্তরে মৌলিক সংস্কার আনা। ৩. ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন। ৪. জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পুনর্বাসন। ৫. পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। ৬. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। এবং ৭. রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সমান সুযোগ ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
সমাবেশে অন্য দলের নেতাদেরও আমন্ত্রণ : জামায়াত নেতারা জানিয়েছেন, এ সমাবেশে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়াদী উদ্যান জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠানের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত : গতকাল বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন করেন। নায়েবে আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরিদর্শন টিমে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল ও অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মো: সাহাবুদ্দিন ও মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মো: সেলিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ইয়াসিন আরাফাত ও ডা: ফখরুদ্দিন মানিক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মাদ দেলাওয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার সেক্রেটারি আতাউর রহমান সরকার প্রমুখ।
উদ্যান পরিদর্শন শেষে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, আল-হামদুলিল্লাহ, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ‘জাতীয় সমাবেশ’ অনুষ্ঠানের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আল্লাহ তায়ালার কাছে কায়মনোবাক্যে দোয়া করছি, তিনি যেন আমাদের জাতীয় সমাবেশ যথাযথভাবে সফল করার তাওফিক দান করেন। আপনারাও দোয়া করবেন এবং দেশবাসীর কাছেও দোয়া চাই।
তিনি আরো বলেন, প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা, আপনাদের মাধ্যমেই আমাদের মহাসমাবেশের খবর শুধু জাতির কাছে নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও পৌঁছে যাবে। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি। আপনারা অতীতেও আমাদের সহযোগিতা করেছেন, আগামীকালকেও আপনারা সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবেন ইনশাআল্লাহ।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমিরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমান জাতীয় সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন। তিনি আকাক্সক্ষার স্বপ্ন অনুযায়ী ঐক্যের ডাক দিয়ে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রগঠনের লক্ষ্যে গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আপনাদের সবাইকে সালাম জানিয়েছেন। দেশবাসীর কাছে তিনি দোয়া চেয়েছেন। আমাদের দীর্ঘদিনের সাধনা অনুযায়ী মানুষের এ আকাক্সক্ষার জাতীয় সমাবেশ যেন সুষ্ঠুভাবে সাফল্যমণ্ডিত হয়।
তিনি আরো বলেন, সমাবেশে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে কয়েক লাখ লোকের আগমন ঘটবে। এতে বাড়তি যানজট তৈরি হবে। সেজন্য বৃহস্পতিবার আমরা ঢাকাবাসী ও দেশবাসীর কাছে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছি। আজও আমরা রাজধানী ও দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।
জনসমাগম নিশ্চিত করতে দেশজুড়ে ব্যাপক প্রস্তুতি : জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসান মাহবুব জোবায়ের বলেন, আমরা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জনসমাগম আশা করছি। এরই মধ্যে ১০ হাজারের বেশি বাস, একাধিক স্পেশাল ট্রেন ও নৌযান রিজার্ভ করা হয়েছে।
দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে প্রায় দেড় হাজার বাস, চট্টগ্রাম-ঢাকা ও রাজশাহী-ঢাকা রুটে বিশেষ ট্রেন এবং নৌপথে লঞ্চ রিজার্ভেশন দেয়া হয়েছে। কেউ কেউ আত্মীয়স্বজনের বাসায় থেকেও সমাবেশে অংশ নেবেন।
সংগঠনিক সমন্বয় : দলটি থেকে জানানো হয়, মাঠে মোতায়েন থাকবে প্রায় ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক, থাকবে বিশেষ পোশাক, ডিউটি কার্ড ও দায়িত্বভাগ। ঢাকা মহানগর ও আশপাশের জেলা থেকে আগতদের জন্য ১৫টি পার্কিং স্পট নির্ধারণ করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে ও বাইরে থাকবে ১৫টি মেডিক্যাল বুথ, প্রতিটিতে এমবিবিএস ডাক্তার, জরুরি ওষুধ ও অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা থাকবে।
সমাবেশের সম্পূর্ণ কার্যক্রম ড্রোন ও আধুনিক ক্যামেরা দিয়ে ধারণ করা হবে। ফেসবুক, ইউটিউব ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার করা হবে, মাঠে থাকবে বড় আকারের এলইডি স্ক্রিন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাথে বৈঠকে ট্রাফিক, নিরাপত্তা ও জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে সমন্বয় করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিতভাবে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছে দলটি।
প্রচারণা ও সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা : পাড়া-মহল্লা, শপিংমল ও বিভিন্ন স্থানে লিফলেট, পোস্টার ও ব্যানারের মাধ্যমে চলছে প্রচারণা। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ মাইকিং করা হচ্ছে। সাংস্কৃতিক দল নাটিকা, গানের সুর ও মঞ্চনাটকের মাধ্যমে সমাবেশের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।
৩ জোড়া ট্রেন ভাড়া জামায়াতের, যাচ্ছেন অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মী
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, ঢাকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ডাকা সমাবেশে নেতাকর্মীদের আনা-নেয়ার জন্য তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে বাংলাদেশ দলটি। ট্রেনগুলো একবার করে চলবে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ-ঢাকা-সিরাজগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ-ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে। শনিবার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজশাহী জেলা ও মহানগর থেকে অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় জামায়াতের সমাবেশে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামীর আবেদনের প্রেক্ষিতে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো: আব্দুল আওয়াল, ডেপুটি চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট-১ আরফিন নাহার ও রেলওয়ের উপপরিচালক (টিটি) মো: খায়রুল কবির পৃথক চিঠিতে ট্রেন বরাদ্দ দিয়েছেন।
এসব চিঠিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর অফিস সেক্রেটারির আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৮ জুলাই দিবাগত রাতে রাজশাহী থেকে ঢাকায় এবং ১৯ জুলাই রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহী ফেরার জন্য একটি বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এই ট্রেন মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের রেক ব্যবহার করে পরিচালিত হবে। ট্রেনটি ১৮ জুলাই দিবাগত রাত ১টায় রাজশাহী থেকে ছেড়ে সকাল ৬টায় ঢাকায় পৌঁছাবে। সমাবেশ শেষে ১৯ জুলাই রাত ৮টায় ঢাকা থেকে ছাড়বে এবং রাত ১টা ১৫ মিনিটে ট্রেনটি আবার রাজশাহী পৌঁছাবে। পথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, হরিয়ান ও সরদহ রোড স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, সিরাজগঞ্জ-ঢাকা-সিরাজগঞ্জ রুটে চলাচলকারী ৭৭৫/৭৭৬ নম্বর ট্রেনটি শনিবার সকাল ৬টায় সিরাজগঞ্জ বাজার থেকে ছাড়বে এবং সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকায় পৌঁছাবে। সমাবেশ শেষে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে সিরাজগঞ্জ বাজারে পৌঁছাবে ভোর ৩টা ৩০ মিনিটে। এ ছাড়া ময়মনসিংহ-ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটেও এক জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বিশেষ এই তিন ট্রেন অগ্রিম ভাড়া, সার্ভিস চার্জ ও অন্যান্য পাওনা পরিশোধসাপেক্ষে চলবে।
জনগণ বিকল্প শক্তি হিসেবে জামায়াতকেই বিবেচনা করছে : ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম
দেশ ও জাতিসত্তাবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ ও জামায়াতের সাত দফা বাস্তবায়ন করতে আগামী ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় সমাবেশ সর্বাত্মকভাবে সফল এবং স্মরণকালের বৃহৎ সমাবেশে পরিণত করার জন্য ময়দানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মোহাম্মদপুর জোন জামায়াত আয়োজিত ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন উপলক্ষে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় মহানগরী সেক্রেটারির সাথে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পরিচালক ডা: শফিয়ার রহমান, জামায়াত নেতা আবদুল হান্নান ও মশিউর রহমানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
তিনি বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানুষ এখন বিকল্প শক্তির সন্ধান করছে। তারা এখন জামায়াতে ইসলামীকেই বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা দেশ ও জাতির যেকোনো ক্রান্তিকালে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমাদের কর্মীদের সব সময় নৈতিক শিক্ষা দিয়ে থাকি। দায়িত্ব ও নেতৃত্বদানের উপযোগী করে গড়ে তুলি। সততা, আমানতদারিতা ও নৈতিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করি। তিনি দেশের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন প্রসঙ্গে বলেন, দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই দেশে রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। এ জন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়া দরকার। বিশ্বের ৯২টি দেশের এ পদ্ধতির নির্বাচন চালু আছে। এ পদ্ধতির নির্বাচন চালু হলে দেশে হুন্ডা, গুণ্ডা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও কেন্দ্র দখল বন্ধ হবে। কিন্তু একটি পক্ষ তা চায় না। কারণ তারা মনোনয়নবাণিজ্যে অভ্যস্ত। তাই নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে করতে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
আপনার মতামত লিখুন :