সার্বিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কার্গো বিমানটি সাড়ে ১১ টন অস্ত্র বহন করছিল। এর মধ্যে ছিল মর্টার ও প্রশিক্ষণের জন্য গোলা। এসব অস্ত্র সার্বিয়ার তৈরি। এ অস্ত্রের ক্রেতা বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
মেরিডিয়ানের মহাপরিচালক ডেনিস বোগদেনোভিস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি রয়টার্সকে বলেছেন, এর সঙ্গে ইউক্রেন বা রাশিয়ার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, স্থানীয় সময় মধ্যরাতে শস্যখেতে বিধ্বস্ত হয় কার্গোটি। এর আগে পাইলট বিমানটির ইঞ্জিনে সমস্যার কথা জানিয়ে দ্রুত ল্যান্ডিংয়ের জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
গ্রিস কর্তৃপক্ষ কার্গো ও ক্রুদের সম্পর্কে তথ্য দিতে পারেনি। বিশেষ উদ্ধারকারী ও সেনা বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে গেছেন। স্থানীয় লোকজনকে ওই এলাকায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেবোজসা স্টেফানোভিক বলেন, ‘কার্গোতে মর্টার শেল ও ট্রেনিং শেল ছিল। এটি সার্বিয়ার নিস থেকে শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৪০ মিনিটে যাত্রা শুরু করে। এ কার্গোর মালিক সার্বিয়ার কোম্পানি ভালির। এটি বৈদেশিক বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এর মধ্যে সামরিক ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামও রয়েছে।
গ্রিসের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইআরটি বলছে, ইঞ্জিন সমস্যার কথা জানিয়ে গ্রিসে জরুরি অবতরণের জন্য অনুরোধ জানানোর পরপরই কার্গো বিমানটির সংকেত বন্ধ হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী আইমিলিয়া সাপ্টানোভা বলেন, ‘আমি ভাবছি কীভাবে এটা আমাদের বাড়িতে পড়ল না। ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল চারদিক। এটি এমন শব্দ করছিল, যা বর্ণনা করার মতো নয়। এটি পাহাড়ের ওপর দিয়ে চলে যায় এবং ভূমিতে বিধ্বস্ত হয়।’
জর্ডানের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদনে বিমানটি জর্ডানে যাচ্ছিল এমন কথা অস্বীকার করা হয়েছে। সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় আসার আগে কার্গো বিমানটি সৌদি আরবের রিয়াদ ও ভারতের আহমেদাবাদে অবতরণের কথা ছিল।’
আপনার মতামত লিখুন :