ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা আওয়ামীলীগের বড় দোসর, তাদের প্রত্যাহারের আহবান জানালেন রিজভী


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪, ১০:৩৪ অপরাহ্ণ /
ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা আওয়ামীলীগের বড় দোসর, তাদের প্রত্যাহারের আহবান জানালেন রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, এখনো আপনারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারদের রেখেছেন কেন? এরা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় দোসর। আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাসী-গুন্ডাদের বানিয়েছিল জনপ্রতিনিধি। অবিলম্বে তাদেরকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের শাস্তির দাবি এবং কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা এবং ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলীর দিদারের হত্যার প্রতিবাদে যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। রোববার বিকেলে যশোর শহরের চৌরাস্তায় এ গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।

তিনি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, ১৬ বছর বিএনপির নেতা-কর্মীরা কে কোথায় ছিল তা আপনাদের অজানা ছিল না। যেভাবে পেরেছেন তুলে এনে আয়না ঘরে আটকে রেখেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কে কোথায় আত্মগোপনে রয়েছে এখন কেন তাদের খুঁজে বের করছেন না। এ সময় পুলিশের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে না আসার বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।

তিনি বলেন, ১৮ লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকার। এছাড়া, ১৭ লাখ কোটি টাকা এমপি মন্ত্রীরা বিদেশে পাচার করেছে। বিচারপতি মানিক নিজেই ৭০ লাখ টাকা নিয়ে ভারতে পালাতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন। এমপি মন্ত্রীরা কত টাকা হাতিয়েছেন তা মানিকের কর্মকাণ্ডেই ফুটে উঠেছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, কিন্তু তার দোসররা যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেদিকে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর আমরা ১৬ বছরের আন্দোলনের অর্জনের প্রাথমিক ধাপ পার করতে পেরেছি। এখনো অনেক পথ বাকি রয়েছে। আমাদের মূল টার্গেট গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। যতদিন পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন না হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার শপথ না নিচ্ছে ততদিন পর্যন্ত মনে রাখতে হবে। আমরা বিরোধী দলে ছিলাম। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছিলাম। আজও বিরোধী দলেই আছি। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চলমান। এ থেকে বিচ্যূত হওয়ার সুযোগ নেই।

প্রধান বক্তা ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে গণসমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল।

সভায় আরও বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি সরদার নুরুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি নির্মল কুমার বিট, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার রানা, যুগ্ম সম্পাদক রেজোয়ানুল ইসলাম খান রিয়েল, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তফা তরফদার রয়েল, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।