পদ্মা সেতু চালুর এক মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ সোমবার (২৫ জুলাই)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে জনগণ। সেতু চালুর পর এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতু থেকে টোল আদায় হয়েছে ৮০ কোটি ৩৯ লাখ ৩ হাজার ৪৭০ টাকা। প্রতিদিন গড়ে আদায় হচ্ছে ২ কোটি ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা। এ সময় মাওয়া ও জাজিরা প্রান্ত হয়ে পার হয়েছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪৬২টি যানবাহন। সেতু সূত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এদিকে এখনো এ সেতুকে ঘিরে মানুষের আগ্রহের কোনো কমতি নেই। এ কারণে আগ্রহী দর্শনার্থীদের জন্য ছুটির দিনে বিশেষ ট্যুরের ব্যবস্থা করেছে পর্যটন করপোরেশন। গত ২২ জুলাই শুক্রবার ৯৯৯ টাকায় পদ্মা সেতু দেখার বিশেষ এ ট্যুরের উদ্বোধন করা হয়।
পর্যটন করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, প্রথম ট্যুরেই মিলেছে ৬০ জন দর্শনার্থী। আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে এসব দর্শনার্থীকে দুটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত টুরিস্ট কোস্টারে করে রাজধানীর আগারগাঁও থেকে পদ্মা সেতু দেখাতে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথম ট্যুরে দুটি কোস্টার ছাড়াও একটি মাইক্রোবাসে করে কিছু দর্শনার্থী নেওয়া হয় বলে জানান করপোরেশনের উপব্যবস্থাপক (বিপণন ও ভ্রমণ) শেখ মেহদি হাসান। তিনি আরো জানান, গত ২৩ জুলাই থেকে আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত পদ্মা সেতু দেখতে আগাম বুক হয়ে গেছে।
গত ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন স্বপ্নের পদ্মা সেতু। ২৬ জুন থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়ে আদায় হয়েছে ৮০ কোটি ৩৯ লাখ ৩ হাজার ৪৭০ টাকা। এদিকে স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে প্রথম দিনে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫০ টাকা। প্রথম দিনে দুই প্রান্ত থেকে যান পারাপার হয়েছে ৬১ হাজার ৮৩১টি। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্ত থেকে ৩১ হাজার ১৯৭টি যানবাহন, আর জাজিরা প্রান্ত থেকে ৩০ হাজার ৬৩৯টি যানবাহন সেতু অতিক্রম করে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, সেতু চালু হওয়ার পর দিন অর্থাৎ ২৭ জুন টোল আদায় হয় ২ কোটি ১৯ লাখ ২৬ হাজার ৯৫০ টাকা। তবে ৮ জুলাই সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমাণ টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা। এদিকে ঐ দিন গাড়ি পারাপার হয়েছে ৩১ হাজার ৭২৩টি। সব থেকে কম টোল আদায় হয়েছে ঈদের দিন ১০ জুলাই। মোট ১ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ৮৫০ টাকা। ঐ দিন গাড়ি পারাপার হয়েছে মোট ১১ হাজার ৯৫৪টি। এভাবেই টোল আদায় করা হয় বলে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন মাওয়া টোল প্লাজায় দায়িত্বে থাকা পদ্মা সেতুর সাইট অফিস নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মাহমুদুর রহমান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের সময় চাপ ছিল, তবে সে চাপ আমরা সফলভাবে সামলাতে পেরেছি।
সেতু কতৃর্পক্ষের সহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াদউল হাসান বলেন, এখনো আমাদের মোট কত টাকা আদায় হয়েছে তার হিসেবে আগামীকালের মধ্যে শেষ হবে। তবে কত টাকা আদায় হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৮০ কোটি টাকার টাকার অধিক আদায় হতে পারে। টোল আদায়ের ধীরগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধীরগতি দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে আসছে। সামনে দ্রুত সময়ের মধ্যে যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তখন পদ্মা সেতুর দুই পারে যানজট আর হবে না বলে তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :