আটককৃতরা হলেন, ঝিকরগাছার কাউরিয়া মুন্সিপাড়ার মৃত হাবিবুল্লাহ দেওয়ানের ছেলে মাহবুবুর রহমান, পারবাজার গ্রামের মৃত আশিকুল ইসলাম বাবুর ছেলে জাসিবুল ইসলাম হাসিব এবং মণিরামপুর উপজেলার ঝাপা পশ্চিমপাড়ার মমিনুর রহমানের ছেলে ইউনুস আলী।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আবুল বাশারের নেতৃত্বে শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়। দীর্ঘ এই অভিযানে ডিবি পুলিশের বিশেষ টিম ও ঝিকরগাছা থানা পুলিশ অংশ নেয়।
অভিযানে হাসুয়া,রামদা, দা, কুড়াল, চাইনিজ কুড়াল, ওয়াকিটকি, খেলনা পিস্তল, রেঞ্চ, করাত, যৌনতা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরঞ্জাম, মদ, মদের বোতল, ওজন মাপা স্কেল, সিসি ক্যামেরা এবং পুলিশের ব্যবহৃত পোশাক উদ্ধার করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, হাঁসের খামার ও মাছের ঘেরের আড়ালে সেখান থেকে যৌনকর্ম, পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন অপকর্ম ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধে জড়িত একটি সিন্ডিকেট কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই চক্রের গডফাদার ও খামার মালিক সোহাগ পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই হাঁসের ফার্ম ও মাছের ঘেরে অপরিচিতদের যাতায়াত ছিল। বিশেষ করে রাত হলেই সেখানে অপরাধের আখড়া বসত। বাঁশঝাড়ের পেছনে তৈরি করা হয়েছিল টঙঘর, যা অপরাধীদের নিয়মিত আড্ডাখানায় পরিণত হয়। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় চক্রটি এতদিন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আবুল বাশার জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ চক্রের সদস্যরা চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। এ চক্রের তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওই হাঁসের ফার্মটি মূলত সোহাগ নামের এক যুবকের। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযানে অংশ নেন ডিবি পুলিশের এসআই আবু হাসান, এসআই অলোক কুমার দেসহ ঝিকরগাছা ও ডিবির বিশেষ টিমের সদস্যরা।
আপনার মতামত লিখুন :