খুলনা শিল্প নগরীকে মৃত নগরীতে পরিনত করেছেন পতিত সরকার – রকিবুল ইসলাম বকুল


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : মে ২, ২০২৫, ১০:২৭ অপরাহ্ণ /
খুলনা শিল্প নগরীকে মৃত নগরীতে পরিনত করেছেন পতিত সরকার – রকিবুল ইসলাম বকুল

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিশ্বাস করতেন শ্রমিকের দুই-হাতই হচ্ছেন প্রকৃত শক্তি। আর এই শক্তিকে কাজে লাগিয়েই দেশের উন্নয়ন সম্ভব। তিনি শ্রমিকদের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তলাবিহীন বাংলাদেশ থেকে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলেছিলেন। তিনিই প্রথম দেশের হাজার হাজার শ্রমিককে বিদেশে কাজের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। খাল কাটা কর্মসুচির মাধ্যমে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিজেকে শ্রমিক বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করতেন। দেশের ভাগ্য পরিবর্তেন শ্রমিকদের শক্তিকে ব্যবহার করেছেন।

বৃহস্পতিবার (০১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে খালিশপুর বিআইডিসি রোডেস্থ লিবার্টি চত্ত্বরে আয়োজিত খুলনা মহানগর ও জেলা শ্রমিক দলের উদ্যেগে শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বকুল বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি যখন উন্নয়নে দেশে অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উন্নয়নে ঈর্ষানিত হয়ে একটি মহল রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছিলেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর থেকে দেশের শ্রমিকদের ভাগ্যের আকাশে কালো মেঘ নেমে আসে। পার্শ্ববর্তি দেশের ষড়যন্ত্রে পতিত সরকার প্রধান খুলনা শিল্প নগরীকে মৃত নগরীতে পরিনত করেছেন। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার আন্দোলনে লুটেরা হাসিনার পতন হয়েছে। দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করে নতুন একটি বাংলাদেশ গড়ার তখনই আমরা দেখছি আবারো নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। নির্বাচন ছাড়া শ্রমিকদের ভাগ্যের উন্নয়ন মোটেই সম্ভব নয়। বকুল আরো বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুশি করতে হবে। আইনের মুখোমুখি করতে হবে তাদের সকলকে-যারা এ অঞ্চলের সকল পিল্প কারখানাকে বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি বলেন আবারো আন্দোলনের ডাক আসতে পারে নির্বাচনের দাবিতে সুতরাং সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ডাক আসলেই অতীতের চেয়ে আরো শক্তি সঞ্চার করতে রাজপথে নামতে হবে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, আউট সোর্সিং প্রথার মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। আউট সোসিং প্রথাকে বাতিল করে স্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ দিতে হবে। বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলে শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নে ন্যায্য মজুরীর প্রদান করবে। খালিশপুরে একাধিক জুট মিল ছিলো কিন্তু বিগত লুটেরা সরকার লুটপাট করে সকল মিল কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে মৃত নগরীর নাম গুছিয়ে আবারো আধুনিক শিল্প কল কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হবে। চালু করা হবে সকল বন্ধ পাটকলগুলোকে। বিএনপি রাজনীতি করছে জনগণের জন্য। সাধারণ মানুষের ভাগ্যউন্নয়নের জন্য। ১৭ বছর আমরা আন্দোলন করেছি ভোটের দাবিতে। আন্দোলন করেছি গণতান্ত্রিক সরকারের জন্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল ড. ইউনুস সরকার। ভোটের দাবি পুরণে ড. ইউনুস সরকার উদাসিন। একক সময় একক কথা বলছেন। সংস্কারের নামে নির্বাচন নিয়ে তারা টালবাহানা করছেন। তিনি বলেন সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ৩১দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। নির্বাচিত সরকারই পারে সংস্কার করতে। হেলাল বলেন, ক্ষমতার চেয়ারে বসে থাকার জন্য বর্তমান অর্ন্তবরতী সরকার নির্বাচন নিয়ে কাল-ক্ষেপন করছেন। অবিলম্বে যদি নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করা না হয়; শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা না হয়; তাহলে আবারো রাজপথে বিএনপি সকল দাবির ফয়সালা করবে।

শ্রমিকদল খুলনা মহানগর শাখার আহবায়ক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি এ্যাড. শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি উজ্জ্বল কুমার সাহা, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফি, আবুল কালাম জিয়া, খান ইসমাইল হোসেন, আবু দাউদ দীন মোহাম্মদ এবং মো: আলমগীর তালুকদার। সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি লিবার্টি চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিআইডিসি রোড হয়ে চরেরহাট মোড়ে যেয়ে শেষ হয়। র্যালীতে হাজার শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ অংশ গ্রহন করেন।