ইসরাইলি ধ্বংসযজ্ঞে গাজা এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। ছবি – সংগৃহীত
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এক হাজার ৪০০ জনেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়াও স্বাস্থ্য খাতের প্রায় ৩৬০ জন ইসরাইলের কারাগারে বন্দী রয়েছেন।’ চিকিৎসা সহায়তা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) বুধবার বলেছে, ইসরাইলের সামরিক অভিযান ও মানবিক সহায়তায় বাধা প্রদান গাজাকে ফিলিস্তিনি ও তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসা মানুষের কবরস্থানে পরিণত করেছে।
ইসরাইলি ভূখণ্ডে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা চালানোর পর থেকেই গাজায় ইসরাইল আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হলে ইসরাইলের আক্রমণ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়। কিন্তু গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে আবারো হামলা শুরু করে ইসরাইল।
যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার আগেই গত ২ মার্চ থেকে গাজায় মানবিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল। ফলে লাখ লাখ মানুষ ভয়াবহ মানবিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, চিকিৎসা সরবরাহ, জ্বালানি, পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এমএসএফ-এর সমন্বয়কারী আমান্দে বাজেরোলে বলেন, ‘গাজা ফিলিস্তিনি ও তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসা ব্যক্তিদের গণকবরে পরিণত হয়েছে।’
গত মাসে ইসরাইলি বাহিনী গাজায় অ্যাম্বুলেন্সে গুলি চালিয়ে ১৫ জন চিকিৎসক ও উদ্ধারকর্মীকে হত্যা করে। আন্তর্জাতিক মহল এই ঘটনার ব্যাপক নিন্দা করে।
বাজেরোল আরো বলেন, ‘গাজার সমগ্র জনসংখ্যাকে ধ্বংস ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের বা তাদের সাহায্য করার চেষ্টাকারীদের জন্য কোথাও নিরাপদ স্থান না থাকায় মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো নিরাপত্তাহীনতা ও সরবরাহের তীব্র ঘাটতির মধ্যে পড়েছে।’
সূত্র : এএফপি/বাসস
আপনার মতামত লিখুন :