গোপালগঞ্জে ত্রাসের রাজত্ব কায়েমঃ ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করায় প্রশংসা! সেনাবাহিনীকে বারবার সহিংসতার টার্গেটে নিচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুলাই ২০, ২০২৫, ৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ /
গোপালগঞ্জে ত্রাসের রাজত্ব কায়েমঃ ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করায় প্রশংসা! সেনাবাহিনীকে বারবার সহিংসতার টার্গেটে নিচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা

দেশের ঘোর সঙ্কটে জনগণের পাশে সাহস, আস্থা ও শক্তির প্রতীক হিসেবে সর্বদা ভূমিকা রাখছে দেশ প্রেমিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দেশের সকল জাতীয় সঙ্কটে নিজেদের জীবন বাজি রেখে সাধারণ মানুষের পাশে আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়ানো বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বরাবরই টার্গেট দুস্কৃতিকারীদের। গোপালগঞ্জে এনসিপির একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের ব্যাপক সহিংসতা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এ সময় দেশের সম্পদ রক্ষা ও জানমালের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও সৈনিকরা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে ন্যায় সঙ্গত পদক্ষেপ নেয়। যা দেশের সকল শান্তিপ্রিয় মানুষের প্রসংসা অর্জন করেছে। কিন্তু নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের সেনাবাহিনীকে বারবার টার্গেট করায় চরম ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশপ্রেমিক জনতা। যারা সেনাবাহিনীর উপর আক্রমণ করেছে এবং হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করেছে তাদের বিরুদ্ধে এখন সারাদেশের মানুষের ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।বাংলাদেশ খাবার ডেলিভারি

গোপালগঞ্জে এনসিপির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও নজিরবিহীন সহিংসতার টার্গেটে পরিণত করা হয়। সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনার কিছু লাইভ ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে সেনা সদস্যদের টার্গেট করে সংঘবদ্ধভাবে ব্যাপক হামলা চালাতে দেখা গেছে। ঘোর সঙ্কটে জনগণের পাশে সাহস ও শক্তির প্রতীক হিসেবে সর্বদা ভূমিকা রাখা সেনাবাহিনীকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বারবার টার্গেট করায় চরম ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশপ্রেমিক জনতা। নেটিজেনরা গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর উপর হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের ভিডিও ফুটেজ দেখে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।

গোপালগঞ্জে গত বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টির সভাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে এমন ভাবে হামলা চালানো হয় যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। এর আগেও সেনাবাহিনীকে টার্গেট করে একাধিকবার নজিরবিহীনভাবে হামলা চালায় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। ভিডিও ফুটেজ দেখে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর উপর হামলায় জড়িত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতার ও সেনা আইনে তাদের শাস্তি কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন নেটিজেনরা। গোপালগঞ্জে গত বছরের ১০ আগস্ট সেনাসদস্যের ওপর হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার মতো নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে।

৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়া গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে এদিন ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে গোপালগঞ্জ সদরের গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ডে দেশি অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। একপর্যায়ে তারা সেনাসদস্যদের ওপর হামলা করে। এতে সেনাবাহিনীর চার কর্মকর্তাসহ নয়জন আহত হন। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর দুটি রাইফেল, ছয়টি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নিয়ে একটি গাড়িতে আগুন ও দুটি গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়।

এদিকে গোপালগঞ্জের ওই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ জেলায় একটি রাজনৈতিক দলের জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে একদল উচ্ছৃংখল জনতা সংঘবদ্ধভাবে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিচালনা করে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক আহত হন। এছাড়াও, শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সরকারি যানবাহনে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও স্থানীয় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করে এবং প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। সমাবেশ চলাকালে মঞ্চে আবার হামলা চালানো হয় এবং একইসঙ্গে জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এ অবস্থায়, সেনাবাহিনী হামলাকারীদের মাইকে বার বার ঘোষণা দিয়ে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে তারা সেনাবাহিনীর ওপর বিপুল সংখ্যক ককটেল ও ইট-পাটকেল ছুঁড়ে হামলা করে এবং একপর্যায়ে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়।বাংলাদেশ খাবার ডেলিভারি

বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর উপর বহুবার সহিংস হামলা চালানোর রেকর্ড কেবল আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরই রয়েছে। গত বছর ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশব্যাপী সেনা মোতায়েন থাকলেও আন্দোলনকারীদের কোথাও তাদের উপর চড়াও হতে দেখা যায়নি। দেশের আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাসে যেকোনো পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে সবসময় শ্রদ্ধা, সম্মান ও আস্থার জায়গায় রাখতে দেখা গেছে দেশবাসীকে। দেশের অতন্দ্র প্রহরী সেনাবাহিনীর উপর আওয়ামী লীগের এত আক্রোশ কেন?- তা নিয়ে সবসময়ই সমালোচনা হয়ে আসছে। ৫ আগস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা সেনাবাহিনীকে আবারো টার্গেট করায় ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সচেতন মহলে।

জুলাই অভ্যুত্থানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অত্যন্ত সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞর হাত থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর কিছু মহল থেকে সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু দেশের ভবিষ্যৎ মঙ্গলের কথা চিন্তা করে এতে সাড়া দেননি সেনাপ্রধান। বরং তিনি দেশকে দ্রুত সুশৃংখল ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে তৎপর রয়েছেন। এখনো তিনি মনে করেন একটি নির্বাচিত সরকার দ্রুত ক্ষমতা গ্রহণ করলে দেশের পরিস্থিতি ব্যাপক উন্নতি হবে। তার এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের সাধারণ জনতা।

এর আগে ২০০৭ সালের আগস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে সেনা সদস্যের হাতে একজন ছাত্র লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৎকালীন এক ছাত্রলীগ নেতাকে সেনা সদস্যের দিকে তেড়ে আসতে দেখা যায়। এই দৃশ্য তখন ভাইরাল হয়। এদিকে, নেটিজেনরা গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর উপর হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের ভিডিও ফুটেজ দেখে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন। সেনা সদস্যদের উপর হাত তোলার দুঃসাহস দেখানোর জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।বাংলাদেশ খাবার ডেলিভারি

ফেসবুকে ইঞ্জিনিয়ার খলিলুর রহমান লিখেছেন, ভিডিও দেখে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। বর্তমানে সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার রয়েছে। এই ক্ষমতা বলে সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সেনা আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আব্দুল মান্নান লিখেছেন, ভারতের সেবাদাস দল আওয়ামী লীগ কখনোই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী ও মর্যাদাশীল অবস্থায় দেখতে পছন্দ করে না। কারণ তারা সেনাবাহিনী শক্তিশালী হলে দিল্লির অখুশি হওয়ার আশঙ্কা করে। এজন্য তারা সবসময় সেনাবাহিনীকে টার্গেট করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করে। ২৪ এর অভ্যুত্থানের পর দেশবিরোধী এই সন্ত্রাসীদের কঠোরভাবে নির্মূল করতে হবে।