গ্রেফতার চালক ও হেলপার
চট্টগ্রামের চর পাথরঘাট এলাকায় চলন্ত বাসে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় বাস চালক আজাদ খান (২৩) ও তার সহকারী সাহেদুল ইসলামকে (১৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সুলতানা।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় গত মঙ্গলবার মামলা করা হয়। গ্রেফতাররা আদালতে ধর্ষণের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর তাদের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভিকটিমের স্বামী একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। পটিয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ঘটনার শিকার হন ওই নারী। ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে পটিয়া থানার মনসা বাদামতল বাসস্ট্যান্ড থেকে নগরীর স্বামীর বাসা বাকলিয়া তুলাতলী এলাকায় যাওয়ার উদ্দেশে বাসে উঠেন ১৯ বছর বয়সী ওই নারী।
কিন্তু মইজ্জারটেক এলাকায় এসে অন্য যাত্রীরা বাস থেকে নেমে যান। এতে একা হয়ে যান তিনি। তাকে বহনকারী বাসটি নগরের শাহ আমানত সেতুর টোল প্লাজা পার হলে চালক প্রথমে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এরপর গাড়িটি নতুন ব্রিজ গোল চত্বর ঘুরে আবার পটিয়ার দিকে যেতে থাকে। ওই সময় তরুণীকে ধর্ষণ করেন বাসের হেলপার। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই নারীকে পটিয়ার শান্তিরহাট এলাকায় বাস থেকে নামিয়ে দেন তারা।
কর্ণফুলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান বলেন, ঘটনার তিনদিন পর গত মঙ্গলবার ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন। এতে বাসের চালক ও তার সহকারীকে আসামি করা হয়। পরে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :