নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পাওনা টাকা চাওয়ায় গরম পানি ঢেলে আব্বাস আলী মণ্ডল (৭৭) নামে এক বৃদ্ধ দোকানির হাত ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আতিক হাসান বিদ্যুৎ-এর বিরুদ্ধে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়নের স্যানালপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত বিদ্যুৎ একই এলাকার বদিউর রহমানের ছেলে।
চা দোকানি আব্বাস আলী জানান, বুধবার রাত ৮টার দিকে বন্ধু-বান্ধবসহ বিদ্যুৎ তার দোকানে এসে চা-বিস্কুট খান।
পরে টাকা চাওয়ায় তিনি তার ওপর চড়াও হয়ে আবোল-তাবোল বলতে থাকেন। একপর্যায়ে কেটলিতে থাকা গরম পানি তার হাতে ঢেলে দেন ও মারধর শুরু করেন এবং দোকানের চায়ের কাপগুলোও সব ভেঙে ফেলেন। পরে আব্বাস পালিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তির সহযোগিতায় বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
তিনি আরও জানান, এর আগেও দোকানে বাকির টাকা চাওয়ায় কয়েকবার বিদ্যুৎ তাকে মারধর করেছেন এবং দোকানপাট ভাঙচুর করেছেন। দলের প্রভাব থাকায় তার কোনো বিচার হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী কলাবাড়িয়া এলাকার বাবলু শেখ বলেন, টাকা চাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে কেটলির গরম পানিতে আব্বাস আলীর হাত ঝলসে যায়।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আতিক হাসান বিদ্যুৎ জানান, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। বরং তার দিকেই কেটলির গরম পানি ছোড়া হয়েছিল। ওই পানি আব্বাস আলীর হাতেই পড়েছে। আর ওই দোকানি তার কাছে কোনো টাকা পান না।
ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এএসএম লেলিন বলেন, বিদ্যুৎ খুব খারাপ প্রকৃতির ছেলে। তিনি সব সময় মারামারি নিয়েই থাকেন। তার নামে মারামারির কয়েকটি মামলাও রয়েছে। বাকির টাকা চাওয়ায় আব্বাস আলীকে এর আগেও তিনি কয়েকবার মারধর করেছেন।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল হক বলেন, ঘটনা শোনার পরে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল, বিদ্যুৎকে পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :