ডিসেম্বরে নির্বাচন ঘিরে চলছে নানা রকম প্রস্তুতি


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : মার্চ ২১, ২০২৫, ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ /
ডিসেম্বরে নির্বাচন ঘিরে চলছে নানা রকম প্রস্তুতি
  • সংস্কার অজুহাতে অদৃশ্য শক্তির ভোট পেছানোর চেষ্টা, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বিনিয়োগে আস্থা পাচ্ছেন না, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে নির্বাচিত সরকার অপরিহার্য, কিছু উপদেষ্টা ও সংস্কার কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের কেউ কেউ ‘ক্ষমতা’ দীর্ঘদিন ভোগের প্রত্যাশায় সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছেন

১৭ মার্চ পুলিশ কর্মকর্তাদের দিক-নির্দেশনা দিতে গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে খুব বেশি সময় নেই। আমরা ইতোমধ্যে সাত মাস পার করে এসেছি। আমরা বলছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। কাজেই কী কী সংস্কার করতে চাই করে ফেলতে হবে।’

এর আগে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ড. ইউনূস বলেছেন, ‘নির্বাচনের ট্রেন লাইনে উঠে চলতে শুরু করেছে। এ ট্রেন গন্তব্যে না পৌঁছা পর্যন্ত থামবে না।’ এর পর থেকে উপদেষ্টা পরিষদ, বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধি, জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক এবং দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বরেই নির্বাচনের বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, তবে রাজনৈতিক দলগুলো যদি ‘বৃহৎ সংস্কার প্যাকেজ’ চায় তাহলে নির্বাচন কিছু দিন পেছাতে পারে। অবশ্য অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন না। অর্থনীতি গতিশীল করতে বিদেশি বিনিয়োগ অপরিহার্য।

ফলে ‘সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজ’ গ্রহণ করে ডিসেম্বরে নির্বাচনের আয়োজন হবে উত্তম পন্থা। অথচ কিছু ব্যক্তি সংস্কারের নামে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ দীর্ঘ করতে সভা-সেমিনারের মাধ্যমে জনমত গঠনের চেষ্টা করছে। জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর দিলারা চৌধুরী বলেন, ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ সংস্কার চায়। রাজনৈতিক দলগুলোও চায়। তবে নির্বাচনের দিকে না গিয়ে সংস্কারের দিকে গেলে, তা হবে বিরাজনীতিকরণ। যৌক্তিক কিছু সংস্কার করে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ড. ইউনূসের প্রতি দেশের আমজনতা পূর্ণ আস্থাশীল। তার মতো বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন এ জন্য জাতি গর্বিত। ড. ইউনূস ডিসেম্বরের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন; প্রধান নির্বাচন কমিশনার স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘ইসি প্রস্তুত, সরকার যখন নির্বাচন করতে বলবে তখন নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।’ তারপরও ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে কি-না তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সন্দেহের উদ্রেগ হয়েছে। যার জন্য বিএনপিসহ দেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলনে নামার ইঙ্গিত দিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে সবাই ভাবছেÑ নির্বাচন কবে হবে? কবে দেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরে আসবে। দেশে একটি সরকার আছে কিন্তু এখনো গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরে আসেনি। সেটি না এলে, জনগণ সমর্থিত একটি সরকার ব্যতীত কোনো অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, পুলিশ সাপোর্ট দিয়ে সেটি দাঁড়াতে পারবে না। সেটি আমরা লক্ষ করছি। জনগণের সমর্থিত সরকার, সংসদÑ যা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে সেটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করতে পারলে অনেকগুলো সমস্যা সমাধান হবে।

প্রশ্ন হচ্ছে ‘ডিসেম্বরে নির্বাচন’ ড. ইউনূস প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে এত সংশয় কেন? এই সন্দেহের মূলে রয়েছে কয়েকজন উপদেষ্টার ‘দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার খায়েশ’ এবং বিভিন্ন সংস্কার সংক্রান্ত কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের লোভাতুর মানসিকতা। এ ছাড়াও দিল্লির অ্যাজেন্ডা অনুযায়ী আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ফ্যসিস্ট আওয়ামী লীগকে জাতীয় সংসদে পুনর্বাসনের নীলনকশা। সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘শুধু নির্বাচনের জন্য গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে এটি নয়; আবার নির্বাচনের জন্য ফের গণ-অভ্যুত্থান প্রয়োজন হয়ে পড়ছে।’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমরা কখনোই সময় বেঁধে দেইনি। আমরা কখনোই দিন-ক্ষণ-মাস এ সবের কথা বলিনি। আমরা সবসময় যৌক্তিক সময়ের কথা বলেছি। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ যদি এ সরকার ডিসেম্বরের আগেও করতে পারে তাহলেও আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আসলে আমরা মনে করি, ডিসেম্বর বা পরবর্তী জুনÑ এ ধরনের সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলোÑ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা। আর এর জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন আমরা সেটারই পক্ষে।

প্রবাদে রয়েছে, বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় (আসল লোকের চেয়ে তার অনুচরের দৃঢ়তা বেশি) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের হয়েছে সেই দশা। গত ১৪ মার্চ জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি ‘সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজ’ নিয়ে একমত হয়, তবে নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে। তবে তারা যদি ‘বৃহৎ সংস্কার প্যাকেজ’ গ্রহণ করে, তাহলে নির্বাচন আগামী বছরের জুনে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু কয়েকজন উপদেষ্টা এবং সংস্কার কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি জনগণ না চাইলেও ‘বৃহৎ সংস্কার প্যাকেজ’ গ্রহণ করবেনই। কারণ এতে তারা দীর্ঘদিন সরকারি বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা ভোগের সুযোগ পাবেন। নির্বাচন হলেই তাদের সব সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাবে।

দেশের গণতন্ত্র ও অর্থনীতির ভিত মজবুত করা এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রয়োজনে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দেয়া উচিত। কারণ দাতাদেশ ও সংস্থাগুলো জানিয়ে দিয়েছে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সময় বিনিয়োগে আস্থা রাখতে পারছেন না। দীর্ঘমেয়াদে যে সরকার থাকবে তাদের সময় বিনিয়োগ করতে চান। তারা অর্থ বিনিয়োগ করলে লাভসহ সে পুঁজি তুলে নেয়ার নিশ্চয়তা চান।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আন্দোলনের মুখে সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পালিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন আহমেদ আল-শারা। অভ্যুত্থানের তিন মাসের মধ্যেই আহমেদ আল-শারা ১৩ মার্চ সাংবিধানিক ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন। অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা আগামী পাঁচ বছরের জন্য ইসলামপন্থি শাসনের অধীনে অন্তর্বর্তী সরকারে থাকবে ঘোষণা দিয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার ঘোষণা দেয়ায় সেখানে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আস্থাশীল হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কতদিন থাকবে সেটি নিশ্চিত হয়নি এবং তাদের বেশি দিন ক্ষমতায় থাকার পরিস্থিতি নেই।

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশের অর্থনীতিকে কার্যত মরণদশায় ফেলে গেছে। প্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রবাহের সুবাদে ব্যাংকিং সেক্টর সচল হয়েছে এবং বিদেশি ঋণের কিছু কিস্তি পরিশোধ করা গেছে। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগ না থাকায় অর্থনীতি কার্যত চাপের মুখে পড়ে গেছে। ফলে বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ বাড়াতে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতেই নির্বাচন দ্রুত আয়োজন করা উচিত। কিন্তু ‘বাশের চেয়ে কঞ্চি বড়’ প্রবাদের মতোই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের চেয়ে যেন তার উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য ও সংস্কার কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের লাফানি বেশি।

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কারের লক্ষ্যে ১০টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এসব কমিশনের কয়েকটিতে বিদেশি নাগরিকদের দায়িত্বে বসানো হয়েছে। সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। ওই কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকে সংস্কার সুপারিশ আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ১৬৬টি প্রশ্নমালা পাঠিয়েছে। দলগুলো মতামত দেয়া শুরু করেছে। গতকাল জামায়াত মতামত জমা দিয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সঙ্গে সংলাপ করেছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। দলটি জানিয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রশ্নমালার মধ্যে ১২০টির বিষয়ে এলডিপি একমত হলেও ৪২টি প্রস্তাবের সঙ্গে এলডিপি একমত নয়।

জানতে চাইলে ডাকসুর সাবেক ভিপি নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ডিসেম্বরে হোক বা জুনে হোক আমরা চাই একটা সুষ্ঠু ভালো নির্বাচন। আগামী নির্বাচনে তারা কিভাবে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে ভূমিকা পালন করবে এসব কিছুই প্রধান উপদেষ্টা বলেননি। তার পরও আমরা আশাবাদী যে, আগামী ডিসেম্বরে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এবং সেটি সম্ভব। তবে আমাদের কথা হলোÑ কোনো ছোট বা বড় সংস্কার এসব নয়, আমরা চাই প্রয়োজনীয় সংস্কার। যার মাধ্যমে একটি ভালো, সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে।

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, প্রধান উপদেষ্টা পুলিশবাহিনীকে আগামী ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। তার মানে ডিসেম্বর নির্বাচন হচ্ছে সরকার সে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরাও মনে করি, সরকার যদি প্রস্তুতি নেয় তাহলে ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব। নির্বাচন আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। তারা তাদের মতো প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই সব মিলিয়ে আমরা মনে করি, প্রয়াজনীয় সংস্কার করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।

গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শীর্ষ নেতা, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের একটি স্পষ্ট দিনক্ষণ বলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা পুলিশবাহিনীকে আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। এতে আমরা আশাবাদী যে, আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন হচ্ছে। এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের যে সংলাপ হতে যাচ্ছে তাতে নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কারের বিষয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য এই ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। তাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যেটুকু সংস্কার প্রয়োজন সে বিষয়ে একটি ঐকমত্য হবে এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমরা আশাবাদী।

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, সরকার চাইলে এ বছর জুন-জুলাইয়ের মধ্যেই নির্বাচন করা সম্ভব। তবে সর্বশেষ সময় হিসেবে ডিসেম্বর গ্রহণযোগ্য। এর বেশি যাওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। তবে সরকারের যে মতিগতি তাতে ২০২৬ সালেও তারা নির্বাচন দিতে চায় বলে মনে হয় না। কারণ যে প্রক্রিয়ায় সংস্কার কমিশন কাজ করছে, তারা যেভাবে বিরাজনীতিকরণের কাজ করছে সেটি সন্দেহ ও সংশয় তৈরি করছে। কারণ তারা যেকোনো প্রক্রিয়ায় গণপরিষদ নির্বাচন আগে করতে চায়। সংবিধান সংশোধন, নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক কমিশন করে পুরো বিষয়টিতে একটি জগাখিচুড়ি পাকিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে সরকার যেভাবে কাজ করছে, যে প্রক্রিয়ায় এগুচ্ছে, কথা বলছে তাতে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নামার চিন্তা করছেন তারা। তিনি বলেন, ঈদের পর এপ্রিল থেকেই তারা আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন।