তামিলনাডুর রাজ্যপাল ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগান দেয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রবল বিতর্কে


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৩, ২০২৫, ১০:৩৮ অপরাহ্ণ /
তামিলনাডুর রাজ্যপাল ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগান দেয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রবল বিতর্কে

জয় শ্রী রাম ধ্বনি দেয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রব্বল বিতর্কে জড়ালেন ভারতের তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি। মাদুরাইয়ের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের দিলেন ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি উচ্চারনের পরামর্শ। তারপর থেকে রাজনৈতিক মহল সহ শুভ বুদ্ধিসদম্পন্ন মানবসমাজে উঠে জোড় বিতর্ক।

‘কাম্বা রামায়ণম’-এর রচনাকার প্রাচীন কবিকে সম্মান জানানোর মাধ্যম হিসাবে রাজ্যপাল আর এন রবি শিক্ষার্থীদের এই আবেদন জানান। মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও।

রাজ্যপালের কথায়, “আজকের দিনে এসো আমরা শ্রী রামের একজন মহান ভক্তকে শ্রদ্ধা জানাই। আমি বলব, আমার সঙ্গে তোমরাও জয় শ্রী রাম বলবে।” শনিবার মাদুরাইয়ের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে গিয়ে এই কীর্তি ঘটান আর এন রবি।

তামিলনাড়ুতে বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে ডিএমকে। তারা মোটেই রাজ্যপালের মন্তব্যকে ভালভাবে নেয়নি। আর এন রবিকে কট্টর হিন্দত্ববাদী আরএসএসের মুখপাত্র বলে অভিহিত করে ডিএমকে মুখপাত্র ধরণীধরন বলেছেন, “এটি দেশের ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধের পরিপন্থী। কেন রাজ্যপাল বারবার সংবিধান লঙ্ঘন করতে চান? কেন তিনি এখনও পদত্যাগ করেননি? তিনি একজন আরএসএস মুখপাত্র। আমরা জানি কীভাবে তিনি দেশের সার্বভৌমত্বের নীতি লঙ্ঘন করেছেন এবং কীভাবে সুপ্রিম কোর্ট তাকে তার স্থান দেখিয়ে দিয়েছে।”

কংগ্রেস বিধায়ক আসান মৌলানা রাজ্যপাল রবির ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানের তীব্র সমালোচনা করে বলেন যে তিনি একজন ধর্মীয় নেতার মতো কথা বলছেন, “মনে হচ্ছে যেন ধর্মীয় আদর্শ প্রচার করছেন।” আসান মৌলানার আরও সংযোজন, “তিনি এই দেশের সর্বোচ্চ পদে আছেন। অথচ একজন ধর্মীয় নেতার মতো কথা বলছেন, যা জাতির জন্য সমস্যা তৈরি করছে। ভারতে বিভিন্ন ধর্ম, বিভিন্ন ভাষা এবং বিভিন্ন সম্প্রদায় রয়েছে। রাজ্যপাল ছাত্রদের জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতে বারবার বলছেন। এটি বৈষম্য প্রচার করছে।” “এটি এমন কিছু ধর্মীয় আদর্শ প্রচার করছে, যা রাজ্যপালের করা উচিত ছিল না। তিনি আরএসএস এবং বিজেপির প্রচারণার নেতা হয়ে উঠেছেন।” – এমনটাই অভিযোগ করেন কংগ্রেস বিধায়ক।

সদ্য সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের তীব্র সমালোচনা করে। রাজ্যপালের সই ছাড়া রাজ্য বিধানসভায় পাস হওয়া ১০টি বিলকে ‘অবৈধ’ বলে স্থগিত রাখার ঘোষণা করে শীর্ষ আদালত। ৮ এপ্রিল বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ জানিয়েছিল, বিধানসভায় পাশ হওয়া কোনও বিল রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হলে দীর্ঘ টালবাহানার সুযোগ নেই, এক মাসের মধ্যে তাকে নিজের মতামত জানাতে হবে।