

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের ভোটার কিনা, এ প্রশ্ন অবান্তর। তিনি বলেছেন, যেহেতু তিনি নির্বাচন করতে চেয়েছেন, তাহলে ধরেই নিতে হবে তিনি বাংলাদেশের ভোটার ও নাগরিক। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ঝিনাইদহের শৈলকূপা সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে হাজী কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচার চলমান। দ্রুত যেন ট্রায়াল শেষ হয়, আমরা সে লক্ষ্যে যা যা করণীয়, তার সবই করেছি। বিচার বিঘ্নিত করা বা বিলম্বিত করার কোনো সুযোগ নেই। শৈলকূপা উপজেলা হাজী কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি আলহাজ্ব মো. লুৎফর রহমান টুলু।
এ সময় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাজী ও মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। এর আগের বৃহস্পতিবার রাতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সার্কিট হাউসে ঝিনাইদহে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু সাইমা খাতুন সাবা হত্যার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করা এবং এই হত্যার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা যারা করবে, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুসিয়ার করে দেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রথীন্দ্র নাথ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া, জেলা পরিষদের প্রশাসক সেলিম রেজা, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ কাজল, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটনসহ জেলা প্রশাসন, জেলা বিচার বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, শিশু সাবা হত্যা মামলায় বিচার প্রক্রিয়ায় কেউ বাধা দিলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আইনি বিচার ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি। এজন্যই জুলাই বিপ্লবের পর থেকে দেশে আমরা কোনো ক্রস ফায়ারের ঘটনা দেখিনি। আমরা দেশে গুম ও মিথ্যা মামলার সংস্কৃতি বন্ধ করেছি।
আপনার মতামত লিখুন :