দাম বেশি হওয়ায় খাওয়া হচ্ছে বীজ আলু উৎপাদন নিয়েও দারুণ শঙ্কা!


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৪, ২০২৪, ৮:৫৭ পূর্বাহ্ণ /
দাম বেশি হওয়ায় খাওয়া হচ্ছে বীজ আলু উৎপাদন নিয়েও দারুণ শঙ্কা!

দেশে গোল আলুর (খাবার আলু) বাজার ঊর্ধ্বমুখী। প্রকারভেদে আলুর দাম ৮০ টাকার উপরে। আমদানি করে বাজার সামলানোর চেষ্টা করছে সরকার। তবে, আমদানি অনুমতির (আইপি) চেয়ে দেশে আলু আসছে যৎসামান্যই। ফলে আলুর দাম ঊর্ধ্বমুখীই রয়ে গেছে। এ অবস্থায় নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে আলু মৌসুম। কৃষকের বীজ আলু প্রাপ্তিতে টান পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, দেশে প্রতি বছর এক কোটি টনের বেশি গোল আলুর উৎপাদন হয়। এই উৎপাদনের জন্য প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টন বীজ আলু দরকার। কিন্তু এ বছর বাজারে খাওয়ার আলুর দাম বেশি হওয়ায় বীজ আলু খাবার আলু হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। ফলে চলমান আলু উৎপাদন মৌসুমে কৃষকের আলুবীজ প্রাপ্তি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে আগামীতে আলুর উৎপাদনেও টান পড়বে বলে সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা।

এ বিষয়ে কৃষি সচিব ড. মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়াকে ফোন করে এবং হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের নাম না প্রকাশে অনিচ্ছিুক এক কর্মকর্তা জানান, দেশে আলু বীজ যা আছে ঘাটতি পড়ার কথা না। তবে, একটা চ্যালেঞ্জ আছে সামনে, সেটা হলো বীজ আলু খাবার আলু হিসেবে কোল্ড স্টোরেজ থেকে বিক্রি হয়ে যায় কি না।

ওই কর্মকর্তা বলেন, সচিব-এর সভাপতিত্বে বৈঠক হয়েছে গত মঙ্গলবার। সেখানে করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বীজ আলু যাতে চাষির কাছে যথাযথভাবে যায় এবং কোনোভাবেই যাতে খাবার আলু হিসেবে বিক্রি না হয় সে বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দেয়া হচ্ছে। একইভাবে কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও বিএডিসিকেও চিঠি দেয়া হচ্ছে, যাতে তাদের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে তদারকি করে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারোর (বিবিএস) হিসেবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ লাখ ৫৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়। যেখানে উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ টন। কিন্তু বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশনের দাবি- আলু উৎপাদন হয়েছে ৮০-৮৫ লাখ টন।