নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কোনো প্রোগ্রামের পদক্ষেপ নিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ৩১, ২০২৫, ৯:৪৪ অপরাহ্ণ /
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কোনো প্রোগ্রামের পদক্ষেপ নিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি

গণমাধ্যমের সাথে কথা বলছেন ডিএমপি কমিশনার – ছবিঃ সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ যদি ফেব্রুয়ারি মাসে কোনো ধরনের প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ‘অমর একুশে বইমেলা’ ঘিরে ডিএমপি কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা সংক্রান্তে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো: সাজ্জাত আলী।

বইমেলাকে কেন্দ্র করে গত সরকারের আমলে সহিংসতা হয়েছে। পরে এসব ঘটনার সাথে অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তারা এখন কারামুক্ত। তাদের বিষয়ে কোনো নজরদারি থাকবে কিনা? জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এরকম যারা সন্দেহভাজন আছেন, তাদেরকে আমরা নজরদারিতে রাখছি।’

প্রতিবছর বইমেলাকে কেন্দ্র করে কিছু লেখক বা প্রকাশনী উস্কানিমূলক কিছু বই বের করে। এ বিষয়ে আপনাদের কোনো নজরদারি রয়েছে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কয়েকটি সমন্বয় সভা করেছি। বাংলা একাডেমির কর্মকর্তাদের আমরা বলেছি, কোনো ধরনের উস্কানিমূলক বই যেন মেলায় না আসে। তারা যেন বই যাচাই-বাছাই করে মেলায় পাঠায়।’

এ মাসে আওয়ামী লীগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তাদের একটি নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনও আছে। এই বিষয়ে আপনাদের প্রস্তুতি কেমন? জানতে চাইলে শেখ মো: সাজ্জাত আলী বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে সব সময় কাজ করছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রোগ্রাম আসতেছে। আমরা এসব প্রোগ্রাম প্রতিহত করছি। প্রোগ্রাম তো দিতেই পারে কিন্তু সেগুলো আমরা প্রতিদিনই মোকাবেলা করে যাচ্ছি। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের অনেক নেতাকে আমরা গ্রেফতার করেছি। তারা যদি কোনো প্রোগ্রাম করার পদক্ষেপ নেয় তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। আমাদের দৃষ্টিতে কোনো আশঙ্কা দেখি না।’

ঢাকাতে যে যেভাবে পারছে আন্দোলন করছে। এরফলে মহানগরীতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এখন আবার বই মেলা শুরু হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কিভাবে করবে পুলিশ? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের ট্রাফিক অবস্থা খুবই নাজুক, মানুষ খুবই কষ্ট করছে। আমার নিজেরও কষ্ট লাগে, কারণ এই শরীরের ট্রাফিক ব্যবস্থা তো আমি দেখি। যখন দেখি, মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকে। ছোট একটা দাবি নিয়ে বিশজন লোক রাস্তা আটকে দেয়। আমি তাদের বলবো, আপনারা ছোট দাবি নিয়ে রাস্তা আটকাবেন না। আপনারা ফুটপাতে অবস্থান করুন। কিন্তু খুবই দুঃখজনক যেকোনো দাবি উপস্থাপনার মোক্ষম স্থল হয়ে গেছে রাস্তা অবরোধ।

উত্তরা থেকে রওনা দিয়ে মতিঝিল যেতে সাত ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে, ভয়ঙ্কর অবস্থা। পট-পরবর্তী অবস্থায় আমরা আমাদের পেশাগত পরিবর্তন করেছি। আমি এবং আমাদের আইজিপি আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। আমরা বলছি- আমরা কাউকে মারতে চাই না এবং আমরাও মরতে চাই না। আমি কোনো ব্রিটিশ পুলিশ না। আমি ব্রিটিশ পুলিশের কমিশনার না। রাস্তার মধ্যে আমার লোককে আমি লাঠি দিয়ে পেটাতে চাই না। সাত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের মধ্যে যখন সমস্যা হচ্ছিল তখন আমি আমার সহকর্মীদের বলেছি যেন কোনো লাঠিচার্জ না করা হয়।’

শিক্ষার্থীদের ঘটনার সময় লাঠিচার্জ করতে আপনি নিষেধ করেছেন, কিন্তু শাহবাগে মাদরাসা শিক্ষকদের উপর তাহলে কেন লাঠিচার্জ করা হলো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা এখানে লাঠিচার্জ করিনি শুধু জল কামান দিয়েছি।’

অনেকে আশঙ্কা করছেন বইমেলাতে মব হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না এমন কিছু হবে না। ব্যবস্থা নিয়েছি এমন কিছু হবে না।’

ঢাকা শহরে রাতে বের হওয়া অনিরাপদ এ বিষয়ে আপনি কি মনে করছেন? জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সাংবাদিকদের কাছে আমার অনুরোধ- এমন কোনো সংবাদ প্রকাশ করবেন না, যাতে জনগণের মনে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়। আমরা আমাদের মেকানিজমে ঢাকা শহরকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করি। অনেক মানুষের শহর ঢাকা।’

ঢাকায় যে ছোটখাটো আন্দোলনগুলো হচ্ছে এর সাথে রাজনৈতিক কোন দলের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না এরকম কিছু নেই, আমরা এমন কোনো তথ্য পাইনি।’