উদ্বোধন হলো স্বৈরাচার হাসিনার শাসনামলে গুম, খুন থেকে শুরু করে লগি-বৈঠা, শাপলা গণহত্যা, বিতর্কিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও চব্বিশের গণহত্যাসহ সকল অপকর্মের চিত্র প্রদর্শনী আয়োজন। আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এই প্রদর্শনী।
এ সময় নেওয়া হবে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণ স্বাক্ষর। আগামী ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) গণস্বাক্ষর শেষে প্রতীকী রায়ের মাধ্যমে কার্যকর করা হবে শেখ হাসিনার ফাঁসি। যার মাধ্যমে উদযাপন হবে দ্বিতীয় স্বাধীনতার প্রথম বর্ষপূর্তি। জাগ্রত জুলাই ও জুলাই ঐক্যের আয়োজনে শুক্রবার বেলা সাড়ে ৫টার সময় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে উদ্বোধন হয় এই প্রদর্শনী।
প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদ্য বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা অ্যাক্টিভিসস্ট ড. ফয়জুল হক, জুলাই ঐক্যের সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী, জাগ্রত জুলাইয়ের আহ্বায়ক বোরহান মাহমুদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
উদ্বোধনী বক্তব্যে দু দফা গুম হওয়া হাসিনুর রহমান বেশ কিছু স্মৃতি স্মরণ করেন।
জুলাই ঐক্যের সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী বলেন, আমরা দীর্ঘ ১ মাস প্রচেষ্টা নান জটিলতা কাটিয়ে আজকে এই মঞ্চ তৈরি করতে পেরেছি। জাগ্রত জুলাই যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা প্রশংসনীয়। আগামী ১০ দিন আমরা গণ স্বাক্ষর নিব। প্রতীকী কাঠগড়ায় অনেকেই এসে সাক্ষ্য দিবেন। আমরা এই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামী ৩৬ জুলাই ফ্যাসিস্ট হাসিনার ফাঁসি কার্যকর করব।
জাগ্রত জুলাইয়ের আহ্বায়ক বোরহান মাহমুদ বলেন, আমরা আজকে ৩৬ জুলাই মঞ্চ তৈরি করেছি। যেখানে হাসিনা সরকারের দুঃশাসন ফুটে উঠেছে। কিছু কাজ বাকি আছে যা আগামী ২ দিনের মধ্যে শেষ হবে। আমরা বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান জানাবো এ প্রদর্শনীতে আসার জন্য। অনেকেই হাসিনার ১৬ বছরের ইতিহাস জানে না। তাদের জানা দরকার। এখানে একবার ঘুরলেই ধারণা পাওয়া যাবে হাসিনা সরকারের দুঃশাসন কতটা ভয়াবহ ছিল।
তিনি বলেন, চলমান এই প্রদর্শনীতে রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রতিনিধি গণ প্রতিদিন আসবেন।
আপনার মতামত লিখুন :