প্রধান উপদেষ্টার নিউইয়র্ক সফর অত্যন্ত সফল বিদায়ী সাক্ষাতে প্রশংসা গোয়েন লুইসের


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৮, ২০২৫, ৮:১৯ অপরাহ্ণ /
প্রধান উপদেষ্টার নিউইয়র্ক সফর অত্যন্ত সফল বিদায়ী সাক্ষাতে প্রশংসা গোয়েন লুইসের

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে তুরস্কের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বেরিস একিনজির সাক্ষাৎঃ পিআইডি 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বাংলাদেশে জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গতকাল সাক্ষাতে গুইন লুইস জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে অংশ নিতে অধ্যাপক ইউনূসের নিউ ইয়র্ক সফর ‘অত্যন্ত সফল মিশন’ ছিল বলে প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ওই সফরে প্রধান উপদেষ্টা বেশকিছু সংখ্যক বিশ্বনেতার সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন এবং রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে জাতিসঙ্ঘের ঐতিহাসিক সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন।

লুইস বলেন, এ সফরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে প্রথমবারের মতো প্রধান রাজনৈতিক দলের ছয় নেতার অন্তর্ভুক্তি জাতীয় ঐক্যের এক শক্তিশালী উদাহরণ স্থাপন করেছে।বাংলাদেশের পণ্য

সাক্ষাতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের টেকসই সহযোগিতা, উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।নিজের দায়িত্বকাল নিয়ে গুইন লুইস বলেন, গত সাড়ে তিন বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের সেবা করা আমার কর্মজীবনের অন্যতম বড় সম্মান ও সৌভাগ্য।’

অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লুইস বলেন, ‘সামাজিক উদ্ভাবন ও ন্যায়বিচারের প্রতি অধ্যাপক ইউনূসের আজীবন নিষ্ঠা বিশ্বজুড়ে কোটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করছে। তার নেতৃত্ব অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ধারণাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।’

লুইসের দায়িত্বকালীন সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন ছিল ঢাকায় জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার হাই কমিশনারের কার্যালয় উদ্বোধন। এর মাধ্যমে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কার্যক্রম আরো শক্তিশালী এবং অধিকারভিত্তিক উন্নয়ন সহযোগিতা গভীরতর হয়েছে।বাংলাদেশের পণ্য

জাতিসঙ্ঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রস্তুতিতে সহায়তা এবং শ্রম, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সংস্কারমূলক উদ্যোগে অংশীদারিত্ব করেছে।

জলবায়ু কার্যক্রম ছিল জাতিসঙ্ঘের সব প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দু। পরিবেশগত টেকসই ও দুর্যোগ প্রস্তুতি জোরদারে সমন্বিত কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে।

লুইস বৈশ্বিক উদ্যোগগুলোতে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন-যেমন ‘সবার জন্য আগাম সতর্কবার্তা’, ‘শিক্ষা রূপান্তর উদ্যোগ’ এবং ‘খাদ্য ব্যবস্থা সম্মেলন’। এসব ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

গুইন লুইস আরো বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ- কাউকে পিছিয়ে না রেখে লিঙ্গসমতা ও মানবাধিকারের মূল্যবোধকে আমাদের সব কর্মকাণ্ডে প্রতিফলিত করতে।’বাংলাদেশের পণ্য

কন্যাশিশুদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ শিশু, যাদের প্রায় অর্ধেকই কন্যাশিশু। তাই, আমাদের ভবিষ্যতের মা, ভবিষ্যতের নাগরিক- এ কন্যাশিশুদের নিরাপত্তা, মানসম্মত শিক্ষা ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদেরকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। তিনি বলেন, এ কন্যাশিশুরাই আগামীর স্বপ্ন, যারা দেশমাতৃকার কল্যাণে অকুতোভয়ে কাজ করবে, বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।

৮ অক্টোবর ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কন্যাশিশু-স্বপ্ন গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি’- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৫’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এটি অত্যন্ত সময়োপযোগী প্রতিপাদ্য বলে আমি মনে করি। এ দিনে আমি বাংলাদেশের সব কন্যাশিশু ও তাদের অভিভাবকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। বাংলাদেশের পণ্য

এ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের সাথে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাক্সক্ষায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখ সারিতে ছিল আমাদের কিশোরী ও নারীরা। তারা আমাদেরকে এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে।