ভারত থেকে সাড়ে ৭ টাকা দরে আরও ২ লাখ একত্রিশ হাজার ৮৪০ পিস ডিম আমদানি


Al Amin প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২০, ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ /
ভারত থেকে সাড়ে ৭ টাকা দরে আরও ২ লাখ একত্রিশ হাজার ৮৪০ পিস ডিম আমদানি

বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সাড়ে ৭ টাকা দরের আরও দুই লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে।

শনিবার রাতে এসব ডিম বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজির।

তিনি বলেন, “ভারত থেকে আমদানি করা মুরগীর ডিমের এটি পঞ্চম চালান। গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত এসব চালানে মোট ৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩১০টি ডিম আমদানি করা হয়েছে।

“আগামী মাসের মধ্যে সরকারের প্রথম ঘোষণার ৫০ লাখ ডিমের আরও ৪০ লাখ ডিম আমদানি করা হবে বলে আশা করছি।”

“ঘাটতি পূরণে সরকার আরও সাড়ে চার কোটি পিস মুরগীর ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। সেগুলোও পর্যায়ক্রমে আমদানি করা হবে।”

ঢাকার ‘হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন’ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিমগুলো আমদানি করেছে।

ডিমগুলির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশন।

প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি শাহ আলম বলেন, “ভারত থেকে প্রতিটি ডিম কেনা হয়েছে পাঁচ টাকা ৭০ পয়সা দরে। অথচ প্রতিটি ডিমের শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে এক টাকা ৮৩ পয়সা (অন্যান্য খরচসহ)। সব মিলিয়ে একটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে সাত টাকার একটু বেশি।

তিনি বলেন, ডিমের শুল্ক ৫০ পয়সার নিচে রাখলে বাজারে ডিমের দাম অনেক কমে যেত।

তারা পেঁয়াজ ও আলুর মতো শুল্ক মওফুক করার জন্য সরকারকে চিঠি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

শাহ আলম আরও জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুই মাসের মধ্যে ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছিল। তবে ১০ সেপ্টেম্বরের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে মাত্র দুটি চালানে প্রায় তিন লাখ ডিম আমদানি করার সুযোগ হয়।

রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতির কারণে আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়। এ জন্য তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও দুই মাসের সময় বাড়িয়েছে মন্ত্রণালয়। যেটি নভেম্বরে শেষ হবে।

ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কলকাতার শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টম হাউসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।

ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিটি ডিম সাড়ে সাত টাকায় আমদানি হলেও পরিবহন, শ্রমিক, ওয়েস্টেজ (নষ্ট ডিম) বাবদ প্রতিটি ডিমে আরও অন্তত তিন টাকা খরচ হয়। ফলে আমদানি করা প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১০ টাকা ৭০ পয়সা দরে পাইকারি বিক্রি হয়।

বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, গত বছরের ৫ নভেম্বর আসে প্রথম চালান, ৯ সেপ্টেম্বর আসে দ্বিতীয় চালান এবং চলতি মাসের ৬, ৭ ও ১৯ তারিখে আসে ডিমের তিনটি চালান।

এর আগে গত বছর ঢাকার বিডিএস কর্পোরেশন একই দামে ভারত থেকে ৬১ হাজার ৯৫০টি ডিম আমদানি করেছিল বলে জানান এই রাজস্ব কর্মকর্তা।