ভারতকে ‘ব্যান্ডউইথ ট্রানজিট’ দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার বাংলাদেশের – ছবি : সংগৃহীত
ভারতকে ‘ব্যান্ডউইথ ট্রানজিট’ দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ‘ব্যান্ডউইথ ট্রানজিট’ সুবিধার জন্য আবেদন জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) এ খবর দিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের একটি সূত্রের কথা উল্লেখ করে এতে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক ডিজিটাল হাব হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকা দুর্বল হতে পারে, এমন আশঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত ১ ডিসেম্বর এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে বিটিআরসি।
পতিত হাসিনা সরকারের সময়ে ভারতীয় কোম্পানি ভারতী এয়ারটেল লিমিটেড বাংলাদেশের সামিট কমিউনিকেশনস ও ফাইবার অ্যাট হোমের সাথে আখাউড়া থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত ট্রানজিট সংযোগ স্থাপনের অনুমতি চেয়ে বিটিআরসিতে আবেদন করেছিল। তাতে প্রাথমিক সম্মতিও মিলেছিল।
আখাউড়া সীমান্তে একটি ইন্টারনেট সার্কিট স্থাপনের মাধ্যমে এই ট্রানজিট সংযোগ স্থাপনের প্রস্তাব ছিল ওই আবেদনে। কিন্তু স্থলপথে কেবল যোগাযোগ (টেরেস্ট্রিয়াল কেবল) স্থাপনের জন্য ওই ট্রানজিট সংযোগে বাংলাদেশের তেমন কোনো লাভ হতো না বলে বিটিআরসির একটি সূত্র জানিয়েছে।
তাদের দাবি, ব্যান্ডইউথের সুযোগ পেয়ে লাভবান হতো ভারত। ‘সামিট কমিউনিকেশনস’ ও ‘ফাইবার অ্যাট হোম’ সাবেক শাসকদল আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ। সামিট কমিউনিকেশন্সের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফরিদ খান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গোপালগঞ্জ-১ আসন থেকে জাতীয় সংসদে নির্বাচিত ফারুক খানের ছোট ভাই।
আপনার মতামত লিখুন :