মার্কিন বিশেষ দূতকে প্রধান উপদেষ্টার দৃঢ় অঙ্গীকার-‘নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে’


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫, ১০:২৮ অপরাহ্ণ /
মার্কিন বিশেষ দূতকে প্রধান উপদেষ্টার দৃঢ় অঙ্গীকার-‘নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে’

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়েই দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নিজের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, দীর্ঘ স্বৈরাচারী শাসনামলে দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, তাই এখন সাধারণ মানুষ তাদের সেই অধিকার প্রয়োগের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত সার্জিও গোরের সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এই গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনা, গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত ইস্যু তরুণ রাজনৈতিক কর্মী শহীদ শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সার্জিও গোর সাম্প্রতিক শুল্ক আলোচনায় সফল নেতৃত্বের জন্য প্রফেসর ইউনূসকে অভিনন্দন জানান। এই আলোচনার ফলে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে, যা দেশের বাণিজ্যের জন্য এক বড় মাইলফলক। আলাপকালে মার্কিন বিশেষ দূত শহীদ ওসমান হাদির জানাজায় মানুষের বিশাল উপস্থিতির বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা মার্কিন দূতকে অবহিত করেন যে, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী শাসনের সমর্থকেরা নির্বাচন প্রক্রিয়া নসাৎ করতে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে এবং তাদের পলাতক নেতা বিদেশ থেকে সহিংসতা উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে, অন্তর্বর্তী সরকার যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। নির্বাচনের আর মাত্র প্রায় ৫০ দিন বাকি আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার একটি অবাধ ও স্মরণীয় নির্বাচন উপহার দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এই ফোনালাপের সময় প্রধান উপদেষ্টার পাশে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। মার্কিন বিশেষ দূতের এই যোগাযোগ ও সহযোগিতা বাংলাদেশের বর্তমান সংস্কার প্রক্রিয়ায় একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।