নিজস্ব প্রতিবেদক: বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ স্বয়ং নিজে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি প্রথম দিনের মতো অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলেছেন। ফুটপাত পথচারীদের জন্য নির্বিঘ্ন করতে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রাত পোহানোর পর ফুটপাতে আর কোনো স্থাপনা দেখতে চান না পুলিশের এই জ্যেষ্ট কর্মকর্তা।
প্রথমদিন যশোর শহরের গাড়িখানা রোড ও মুজিব সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
অভিযানে সহায়তা করেন কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) শেখ বাবুল আক্তার, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) দেবাশীষ, টিআই-১, সদর ট্রাফিক মো. মাহফুজুর রহমান, ট্রাফিক পরিদর্শক জহির মজুমদার, ডিআইও রইচ উদ্দিন, তাহসিন, কসবা বাড়ির আইসিসহ পুলিশের একদল চৌকস সদস্য।
যশোরের পুলিশ প্রধান জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে বলেন, যশোর শহরকে যানজট মুক্ত করতে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আজ প্রথমদিনে তিনি ফুটপাতে দখলে থাকা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের স্থাপনা সরিয়ে ফুটপাত পথচারীদের জন্য নির্বিঘ্ন করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন-ফুটপাত দখলমুক্ত হলে একদিকে নারী-পুরুষ শিশু এবং বয়োবৃদ্ধ মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবেন। যানজট মুক্ত হলে জনমনে স্বস্তি ফিরবে। ছোট-খাটো দুর্ঘটনা কমবে।
এক প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন, পুলিশের কাজ দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন। যশোর শহরে কোথাও ফুটপাত দখল করে যানজট সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন-এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রথম দিনের জনসচেতনতার জন্য বোঝানো হয়েছে।প্রয়োজন হলে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে যাবে।
তিনি এ কাজে যশোরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, অভিযোগ আছে অনেকে ফুটপাত দখলে নিয়ে ভাড়া তুলেন। কেউ আবার অদৃশ্য শক্তির ছত্রছায়ায় থেকে ফুটপাত দখলে নিয়ে ব্যবসা করেন। তবে এবার সবপথ বন্ধের উদ্যোগ নিলেন পুলিশ সুপার।
আপনার মতামত লিখুন :