যশোরে ডেভিল হান্টের অভিযানে একদিনে আটক ১৬


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫, ৯:০১ পূর্বাহ্ণ /
যশোরে ডেভিল হান্টের অভিযানে একদিনে আটক ১৬

যশোরে ডেভিল হান্টের অভিযান শুরু হয়েছে। রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের ১৬জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আটকদের মধ্যে রয়েছেন কোতোয়ালি থানায় দশজন, অভয়নগরের দুজন, ঝিকরগাছার দুজন, চৌগাছার দুজন। সোমবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

আটকরা হলেন যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের বলরামপুরের মৃত হাজী খোরশেদ আলম বিশ্বাসের ছেলে ফেরদৌস আলম, উপশহর ডি-ব্লকের মনিরুজ্জামানের ছেলে মিজানুর রহমান রাফি, শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়ার মৃত বজলুর রহমানের ছেলে আব্দুল হামিদ খোকন, ফতেপুরের ভায়না গ্রামের মৃত শুকুমার ঘোষের ছেলে মদন কুমার ঘোষ, একই গ্রামের মৃত বদর উদ্দীনের ছেলে শেখ হারুন অর রশীদ, রামকৃষ্ণপুরের মৃত হোসেন আলী মোল্লার ছেলে সোহরাব হোসেন শিহাব, লেবুতলার এনায়েতপুরের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে শাহিনুর রহমান, একই গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে তুষার, লেবুতলার মৃত আকমলের ছেলে জাহাদায় ও মণিরামপুর উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের মসলেম গাজীর ছেলে ওলিয়ার রহমান।

এছাড়া চৌগাছার আসামিরা হলেন, কোমরপুর গ্রামের বাহাদুর মল্লিকের ছেলে ফজলুর রহমান ও পাশাপোল পশ্চিমপাড়ার ফারুক হোসেনের ছেলে আমিরুল ইসলাম।

অভয়নগরের আসামিরা হলেন, লক্ষীপুর গ্রামের গফফার বিশ্বাসের ছেলে মফিজুর রহমান ও গুয়াখালী গ্রামের ইমারতের ছেলে রবিউল ইসলাম, ঝিকরগাছার পুরন্দপুর গ্রামের ফকির হোসেনের ছেলে রায়হান হোসেন ও কদর আলীর ছেলে আয়নাল হোসেন। তাদেরকে পৃথক মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী বাবুল জানান, আটকদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর যশোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে বোমাবাজির অভিযোগে গত ১৯ নভেম্বর কোতোয়াালি থানায় মামলা করেন অ্যাডভোকেট মুন্সী মঞ্জুরুল ইসলাম।

এ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনসহ ৯৬ জন। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই দশজনকে আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, যশোরে ডেভিল হান্টের অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নরেন্দ্রপুরের আওয়ামী লীগ নেতা ফেরদৌস আলমসহ ৯জন নেতাকর্মীকে আটক করেছেন আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
যশোরের বিভিন্ন এলাকায় রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত এ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কাজী বাবুল।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ফেরদৌস নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে।