রাবির তিন শিক্ষক বরখাস্ত হলেন এবং দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৪, ২০২৫, ৭:১২ পূর্বাহ্ণ /
রাবির তিন শিক্ষক বরখাস্ত হলেন এবং দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল

বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তিন শিক্ষককে বরখাস্ত, দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল ও একজনকে আজীবনসহ তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী ফোরাম সিন্ডিকেটের ৫৪৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন- ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকার, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার, ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ। অন্যদিকে শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পরিচয় বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকারকে ৩ বছরের জন্য সাময়িক বরখাস্ত ও ১০ বছর পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজ থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার ও ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল, এক শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও দুই শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। সিন্ডিকেটের তারিখ থেকে উল্লিখিত সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, বিশেষ কিছু কারণে শিক্ষার্থীদের নাম আমরা প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। তবে ফাইন্যন্স বিভাগের একটি ঘটনার সংশ্লিষ্টতা এখানে রয়েছে। তাছাড়া দুই শিক্ষক বরখাস্তের বিষয়ে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

এরআগে, গত ১১ মে বিকেলে ফাইনান্স বিভাগের শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহর চেম্বারে এক ছাত্রী অবস্থান করছিল। তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবির সাবেক সমন্বয়ক ও দুজন সাংবাদিক সেখানে যান এবং তাদের অবস্থানের কারণ জিজ্ঞেস করে। তাদের দাবি ছিল, শিক্ষক ও ছাত্রী আপত্তিকর অবস্থায় ছিলেন। এ ঘটনায় পাল্টা অভিযোগ তোলেন শিক্ষক ও ওই ছাত্রী।

তারা বলেন, একাডেমিক কাজে তারা আলোচনা করছিলেন। তখন তাদের জিম্মি করে ভিডিও ধারণ ও চাঁদা নেন সাংবাদিক ও নেতারা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন তারা।