শরীয়তপুরে জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা এলাকায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের তীর রক্ষা বাঁধে ১০০ মিটার জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে পদ্মাপাড়ে অবস্থিত গ্রামবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। পদ্মা সেতুর ১ হাজার ৭শ’ মিটার পূর্বদিকে মঙ্গলমাঝির ঘাট এলাকায় এ ভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহ যাবত ভাঙনে প্রায় ১০০ মিটার এলাকায় কংক্রিটের সিসি ব্লক পানিতে তলিয়ে গেছে।
এসব এলাকার আশপাশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ওই এলাকায় পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। পদ্মা নদীতে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে এমন ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড পদ্মা নদীরক্ষা বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। ২০১০-২০১১ সালে পদ্মা সেতু থেকে মাঝিরঘাট হয়ে পূর্ব নাওডোবা আলমখার কান্দি জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ২ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এটি নির্মাণে ১১০ কোটি টাকা ব্যয় হয়।
শরীয়তপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তারেক হাসান জানান, যে স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে, সেই স্থানটি পদ্মাসেতু প্রকল্পের আওতায় থাকার কারণে সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ করার সুযোগ নেই। পদ্মাসেতু কর্তৃপক্ষ কাজটি করেছে। এর দায়বদ্ধতা সেতু কর্তৃপক্ষের। তাই তাদেরকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসবেন বলে জানা গেছে। এদিকে পদ্মার মাঝের চর পাইনপাড়া আহম্মদ মাঝি কান্দি এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা রহিম উদ্দিন মৃধা ও আতাহার মৃধা বলেন, পদ্মা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলনের কারণে আমাদের এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে ঘরবাড়ি, মসজিদ, স্কুল, মাদরাসা, গাছপালা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। তাই ভাঙন প্রতিরোধ করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন :