শাব্বির আহমদ শাহ যেভাবে কাশ্মিরের ম্যান্ডেলা হয়ে উঠলেন


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : জুলাই ১৫, ২০২৫, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ /
শাব্বির আহমদ শাহ যেভাবে কাশ্মিরের ম্যান্ডেলা হয়ে উঠলেন

কাশ্মিরের ম্যান্ডেলা শাব্বির আহমদ শাহ

  • শাহের পরিবার তার মুক্তির দাবিতে একাধিক মিডিয়া প্রচারণা চালিয়েছে, যেখানে তার অমানবিক বন্দিত্ব, চিকিৎসা বঞ্চনা এবং মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

কাশ্মিরের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শাব্বির আহমেদ শাহ। ১৯৫৩ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের দীর্ঘ সময় তাকে কারাগারে কাটাতে হয়। সেজন্য তিনি ‘কাশ্মিরের ম্যান্ডেলা’ নামেই পরিচিত। আজীবন তিনি কাশ্মিরি জাতির অস্তিত্ব ও পরিচয়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন।

শাব্বির শাহ ১৯৫৩ সালের ১৪ জুন ভারত-শাসিত জম্মু ও কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলার কাদিপোরা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুসলিম জাতীয়তাবাদী আবহে বেড়ে ওঠেন। পিতা গোলাম মুহাম্মদ শাহ ফারার তার রাজনৈতিক চেতনা গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৮৯ সালে নিরাপত্তা হেফাজতে পিতার মৃত্যুর ঘটনাটি তার ব্যক্তিত্বে গভীর প্রভাব ফেলে। এই ঘটনা তার রাজনৈতিক বিশ্বাসকে আরো সুদৃঢ়ও করে তোলে।

১৯৬০ ও ৭০-এর দশকে কাশ্মিরে যে স্বাধীনতার ঢেউ উঠেছিল, তা-ও তাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। শৈশবেই তিনি স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি আকৃষ্ট হন। ফলে কিশোর বয়সেই রাজনৈতিক সক্রিয়তার পথে পা বাড়ান তিনি।

সারনাল স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন শাব্বির শাহ। পরে অনন্তনাগের মডেল ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনে অধ্যয়ন করেন। তবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হয়ে ওঠায় তিনি পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। দেশপ্রেমের তীব্রতা তাকে মাত্র ১৪ বছর বয়সে প্রথম বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করে। ফলস্বরূপ ১৯৬৮ সালে তিনি প্রথমবার গ্রেফতার হন। এই ঘটনার পর তার জীবন একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক বদল করে। তাকে টেনে নিয়ে যায় ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহত এক দীর্ঘ প্রতিরোধ যাত্রায়।

মুক্তির পরও তার সংকল্প অটুট থাকে। তিনি আরো বেশি উদ্যম নিয়ে রাজনীতিতে ফিরে আসেন। ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে তিনি রাজনৈতিক যুব দল গঠন শুরু করেন। এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪ সালে ‘পিপলস লীগ’ গঠিত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মিরি যুবকদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং শান্তিপূর্ণ সংগ্রামের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করা।

শাব্বির শাহের সংগ্রামের নেপথ্য

কাশ্মির সঙ্ঘাত আধুনিক বিশ্বের অন্যতম জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী সঙ্ঘাত। এর সাথে ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও কৌশলগত নানা সমীকরণের সম্পৃক্ততা রয়েছে। ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ বিভক্ত হওয়ার পর থেকেই এটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

এই সমস্যা যুদ্ধের মাধ্যমে নয়, বরং ঔপনিবেশিকভাবে চাপিয়ে দেয়া রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শুরু হয়, যা কাশ্মিরবাসী প্রত্যাখ্যান করে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যকে ভারত বা পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হওয়ার বিকল্প দেয়া হলেও কোনো গণভোট ছাড়াই রাজ্যটিকে ভারতের সাথে যুক্ত করা হয়।

১৯৪৭ সালের অক্টোবরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মির নিয়ে প্রথম যুদ্ধ শুরু হয়, যা ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত চলে। এই যুদ্ধ কাশ্মিরকে কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত করে দেয়- বৃহত্তর অংশ ভারতের নিয়ন্ত্রণে (জম্মু ও কাশ্মির)। অপর অংশ পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে (আজাদ কাশ্মির ও গিলগিট-বালতিস্তান)।

পরবর্তী সময়ে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৪৭ নম্বর প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু গণভোটের আহ্বান জানানো হয়, যাতে কাশ্মিরিরা তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে। কিন্তু সেই গণভোট আজো বাস্তবায়িত হয়নি। ভারত একে চূড়ান্ত সংযুক্তি বলে দাবি করে। আর পাকিস্তান গণভোটকেই একমাত্র ন্যায়সঙ্গত সমাধান বলে মনে করে।

২০১৯ সালের আগস্টে ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে, যা কাশ্মিরকে সীমিত স্বায়ত্তশাসন দিতো। এই সিদ্ধান্তের পর কারফিউ, ইন্টারনেট বন্ধ এবং গণগ্রেফতারের মতো পদক্ষেপ নেয়া হয়। শাব্বির শাহ এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন এবং বিশ্বাস করেন যে ভারতের সাথে সংযুক্তি ছিল অবৈধ ও কাশ্মিরিদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। ফলে তিনি জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাবের ভিত্তিতে একটি অবাধ গণভোটের মাধ্যমে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আজীবন সংগ্রাম চালিয়ে যান।

শাব্বির শাহের রাজনৈতিক জীবন

১৯৭৫ সাল ছিল শাব্বির শাহের রাজনৈতিক জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁক। ওই বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও কাশ্মিরি নেতা শেখ আবদুল্লাহর মধ্যে স্বাক্ষরিত ইন্দিরা-আবদুল্লাহ চুক্তি অনেক কাশ্মিরি নাগরিকের চোখে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখা হয়।

শাহ ও তার সহকর্মীরা চুক্তির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নেন। যার ফলে সরকার যুব নেতাদের গ্রেফতার অভিযান শুরু করে। ১৯৮০ সালে তিনি ‘কাশ্মির ফ্রিডম মুভমেন্ট’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন, যা পরবর্তীতে এই নামেই পরিচিতি লাভ করে। এই সংগঠন জাতিসঙ্ঘ প্রস্তাবের আলোকে কাশ্মির সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান চায়। এর ফলে তাকে বহুবার গ্রেফতার ও হয়রানির শিকার হতে হয়।

শাহ আরো কয়েকটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো ‘ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টি (এফডিপি)’। এফডিপি কাশ্মির লিবারেশন অ্যালায়েন্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল ভারত থেকে কাশ্মিরের স্বাধীনতা অর্জন। তিনি সবধরনের সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের ওপর জোর দেন।

রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি সৈয়দ আলী শাহ গিলানি, ইয়াসিন মালিক এবং মিরওয়াইজ উমর ফারুকসহ অন্যান্য নেতার সাথে মিলে অল পার্টিজ কাশ্মির ফ্রিডম অ্যালায়েন্স (এপিকেএ) গঠন করেন। এই জোট কাশ্মিরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে এবং বিশেষ করে কাশ্মিরের দক্ষিণ ও কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ব্যাপক সমর্থন অর্জন করে। তিনি ‘মুক্ত কাশ্মির’ সমর্থনকারী পাকিস্তানি কিছু আন্দোলন থেকেও সহানুভূতি লাভ করেন।

১৯৯৮ সালে বারবার কারামুক্তির পর শাব্বির শাহ একটি নতুন রাজনৈতিক দল, ‘জম্মু-কাশ্মির ডেমোক্রেটিক ফ্রিডম পার্টি’ (জেকেডিএফ) প্রতিষ্ঠা করেন। দলটি সংগ্রামের একটি শান্তিপূর্ণ ও নাগরিক পদ্ধতিকে প্রাধান্য দেয় এবং সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করে। ভারত, পাকিস্তান ও কাশ্মিরিদের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে একটি ত্রিপক্ষীয় সংলাপেরও আহ্বান জানায় দলটি।

জেকেডিএফ কাশ্মিরে নাগরিক সমাজকে সচেতন করার চেষ্টা করে এবং গণতান্ত্রিক উপায়ে যেমন বিক্ষোভ, সম্মেলন ও রাজনৈতিক বিবৃতির মাধ্যমে দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পরে দলটি সর্বদলীয় হুরিয়ত কনফারেন্স (এপিএইচসি)-এ যোগ দেয়, যা স্বাধীনতা বা বিচ্ছিন্নতার পক্ষে থাকা সংগঠনগুলোর একটি জোট।

প্রতিদ্বন্দ্বী দল ও জোটের সাথে দ্বন্দ্ব

নেতৃত্বের ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও শাব্বির শাহ রাজনৈতিক বিরোধিতা থেকে মুক্ত ছিলেন না। ভারতপন্থী কাশ্মিরি ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) তাকে উন্নয়ন ও শান্তির পথে বাধা হিসেবে কট্টরপন্থী আখ্যা দেয়।

অন্যদিকে, জৈশ-ই-মোহাম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিনের মতো কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী শাহের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে। তারা তার অবস্থানকে দুর্বল ও নমনীয় মনে করতো, যা কাশ্মিরি প্রতিরোধের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি করে।

এছাড়া, ফ্রিডম অ্যালায়েন্সের কয়েকজন নেতার সাথেও শাহ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। বিশেষ করে কাশ্মিরের পাকিস্তানে যোগদানের পক্ষের সাথে পূর্ণ স্বাধীনতার দাবিদারদের আদর্শিক বিভাজনের পর। বহুবার তিনি আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণে কাশ্মিরিদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংলাপের আহ্বান জানান।

শাব্বির শাহের স্বাস্থ্য সঙ্কট ও বন্দিত্ব

দীর্ঘ কারাবন্দিত্বের ফলে শাহের স্বাস্থ্য গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগসহ একাধিক দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছিলেন। তার পরিবার ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বারবার তাকে যথাযথ চিকিৎসা সুবিধা দেয়ার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে, বিশেষত যেহেতু তাকে দীর্ঘ সময় নির্জন কারাগারে মানবিক মানদণ্ড ছাড়াই রাখা হয়েছিল।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ার পর তার কারাবন্দিত্ব নিয়ে উদ্বেগ আরো বাড়ে।
২০১৭ সালের জুলাইয়ে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) তাকে উগ্রবাদে অর্থায়ন ও অর্থপাচারের অভিযোগে পুনরায় গ্রেফতার করে। তাকে নয়াদিল্লির তিহার কারাগারে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে তার স্বাস্থ্যের আরো অবনতি ঘটে। প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছিলেন না।

কোভিড-১৯ মহামারী এবং দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা সত্ত্বেও তাকে মুক্তি দেয়া হয়নি। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও কাশ্মিরি নেতা তার মানবিক মুক্তির দাবি জানান। এই আহ্বানে সমর্থন জানিয়েছেন ফারুক আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতির মতো নেতারাও।

কারাগারে বছর, দীর্ঘ বন্দিত্বের ইতিহাস

শাহ ৩৩ বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি ছিলেন, যার বেশিরভাগই আনুষ্ঠানিক বিচার ছাড়াই (কিছু সূত্র তার মোট কারাবাসের মেয়াদ ৩৮ বছর বলে জানায়)। তিনি এশিয়ার অন্যতম দীর্ঘকালীন রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে পরিচিত।

১৯৬৮ সালে তার প্রথম গ্রেফতার থেকে ২০১৭ সালের সর্বশেষ গ্রেফতার পর্যন্ত তিনি কোঠবাল, শ্রীনগর কেন্দ্রীয় ও তিহার কারাগারসহ একাধিক জেলে বন্দি ছিলেন। জননিরাপত্তা আইন (পিএসএ) ও বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-এর মতো কঠোর আইনের অধীনে তাকে ৩০ বারেরও বেশি গ্রেফতার করা হয়েছিল।

বন্দিত্বকালীন সময়ে তিনি নির্জন কারাবাস, চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়া এবং পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ না পাওয়ার মতো নিপীড়নের শিকার হন। তা সত্ত্বেও তিনি নিজের অবস্থানে অটল থাকেন এবং কাশ্মিরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের দাবি প্রত্যাখ্যানকারী যেকোনো রাজনৈতিক সমাধানকে অগ্রহণযোগ্য বলে জানান।

রাষ্ট্র, সংস্থা ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

শাব্বির শাহের মামলা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একাধিকবার তার মুক্তির দাবি জানিয়েছে এবং তার আটককে কাশ্মিরি কণ্ঠস্বর দমনের একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেছে।

তারা প্রকাশিত প্রতিবেদনে শাহসহ অন্যান্য কাশ্মিরি কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া নিপীড়নের বিবরণ দিয়েছে যেমন নির্বিচারে গ্রেফতার, একাকী কারাবাস ও চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাকিস্তান শাহের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছে এবং তার বিষয়ে একাধিক সম্মেলন আয়োজন করেছে। তুরস্ক ও মালয়েশিয়ার মতো কিছু মুসলিম দেশ মানবিক সংহতি প্রকাশ করলেও জাতিসঙ্ঘ কাশ্মির সমস্যা এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করলেও অপেক্ষাকৃত নীরব।

ভারতের সাথে কূটনৈতিক স্বার্থের কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক পশ্চিমা দেশ শাহের বিষয়ে প্রকাশ্যে অবস্থান নিতে অনিচ্ছুক। ভারত তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে বিবেচনা করে এবং বলে যে তার কার্যকলাপ শান্তি ও শৃঙ্খলার জন্য হুমকিস্বরূপ। ফলে তাকে বিচার ছাড়াই দীর্ঘ সময় বন্দি রাখা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
শাহের পরিবার তার মুক্তির দাবিতে একাধিক মিডিয়া প্রচারণা চালিয়েছে, যেখানে তার অমানবিক বন্দিত্ব, চিকিৎসা বঞ্চনা এবং মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

সূত্র : আল জাজিরা