

অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের এর শেয়ার করা একটা ভিডিওতে দেখা যায় জামায়াতের নির্বাচনে কারচুপির পরিকল্পনার একটি অংশ, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় বিতর্কের শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক জাহেদ উর রহমান বলেছেন, ইসলামি ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদের গোপন বৈঠক জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী কারচুপির একটি সংগঠিত পরিকল্পনা প্রমাণ।
সম্প্রতি জুলকারনাইন সায়ের শেয়ার করা ভিডিওটিতে একাধিক ব্যক্তির মধ্যে নির্বাচনী কৌশল, ভোট পরিচালনা ও প্রভাব বিস্তারের পরিকল্পনা বোঝার মতো কথাবার্তা দৃশ্যমান বলে দাবি করা হচ্ছে।
ভিডিওটি এখনও সরকার বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কর্তৃক যথাযথভাবে যাচাই করা হয়নি। তবুও সামাজিক প্ল্যাটফর্মে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় রাজনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
এই ভিডিও নিয়ে মন্তব্য করে জাহেদ উর রহমান বলেন, ভিডিওতে যে ধরনের কথাবার্তা ও পরিকল্পনার আলামত দেখা যাচ্ছে, তা যদি সত্যি প্রমাণিত হয়। তাহলে এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে এক সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে গণ্য করা উচিত।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন হয়তই কেবল কাগজে লেখা নয়, বাস্তবে ভোটযন্ত্রকে সৎ রাখা আলোতপাতের কাজ। যদি কোনো দল এই ধাঁচের পরিকল্পনায় লিপ্ত থাকে তবে তার দায় কারও কাছে অগোপন রাখা যাবে না। ভিডিওটির সূত্র, তুলনাহীনকারী ও সম্পূর্ণ সূত্র যাচাইয়ের জন্য একাধিক সক্রিয় নাগরিক গ্রুপ এবং সাংবাদিকরা পরীক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের দাবি- ভিডিওটির কাটা-ছাঁটা, কনটেক্সট এবং বক্তব্যকারীদের পরিচয় নির্ণয় করা জরুরি, যাতে ম্যানিপুলেশন বা বিভ্রান্তিকর সংকেত থাকলে তা চিহ্নিত করা যায়।
অপরদিকে, জামায়াতে ইসলামী কোন প্রাসঙ্গিক সমালোচনার বিরুদ্ধে অবস্থান বা প্রতিক্রিয়া প্রদান করেনি। তারা কি এই দাবি অস্বীকার করেছে, নাকি তদন্তে সহায়তা করবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কোনো দলের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ উঠলে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত ছাড়া বিষয়টি কেবল গুজবে রূপ নিতে পারে এবং তা রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়ে দেবে।
নিবিড় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই ঘটনার বিস্তার দেশীয় রাজনীতি ও নাগরিক আস্থাকে নতুন প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সবাইকে চৌকস থাকতে বলেছেন এবং অভিযোগ-প্রমাণ উভয় ক্ষেত্রেই নিরপেক্ষ, কুড়িয়ে নেয়া তথ্যভাণ্ডারভিত্তিক তদন্তের প্রয়োজনীয়তা জোর দিয়ে বলছেন।
এই ঘটনার ওপর নির্ভরশীলভাবে তদন্ত শুরু হলে তার ফলাফল ও সুষ্ঠু তদন্তপ্রক্রিয়া দর্শকের আগ্রহ ও দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
আপনার মতামত লিখুন :