সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে বিগত সরকারের প্রভাবশালী অনেকেই জড়িত- শিশির মনির


Sarsa Barta প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৩, ২০২৪, ৯:১৯ অপরাহ্ণ /
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে বিগত সরকারের প্রভাবশালী অনেকেই জড়িত- শিশির মনির

প্রতিবেদকঃ সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে বিগত সরকারের অত্যন্ত প্রভাবশালী লোকজন জড়িত ছিল মর্মে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের হোটেল রয়েল ইনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড হয়েছে ২০১২ সালে। প্রায় ১২ বছর পর একটা টাস্কফোর্স গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে তাদের যাতে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। যেহেতু আমি আইনজীবী হিসেবে যুক্ত হয়েছি, তাই এর প্রাথমিক যে নথি তা দেখার সুযোগ হয়েছে। মামলাটি যেহেতু তদন্তে আছে, তদন্তে থাকাকালীন সব কিছু বলা যায় না। শুধু এতটুকু বলা যায়, আমার কাছে মনে হয় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক আছে, সেদিক ধরে তদন্ত করতে পারলে এই হত্যাকাণ্ডের শেষ অংশে যাওয়া সম্ভব।

এই আইনজীবী বলেন, বেশ কিছু সংবেদনশীল মানুষের নাম সামনে এসেছে। যাদের নাম সামনে এসেছে তারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে। সেই নামগুলো আমি এখানে বলছি না। তবে আমার কাছে মনে হয় এখন তদন্তটা সঠিক পথেই আছে। যে জায়গায় গিয়ে তদন্তটা থেমে গিয়েছিল সেখানে সরকার আর বাধা দিচ্ছে না। যেহেতু বাধা দিচ্ছে না, দু’একটি জবানবন্দি আসছে, যেগুলোতে খুবই সংবেদনশীল তথ্য সামনে এসেছে। এর জন্য আমার কাছে মনে হয় অগ্রগতি হবে।

শিশির মনির আরও বলেন, যে কটা তথ্য এসেছে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটা ডিএনএ রিপোর্ট। সাগর ও রুনির শরীর থেকে দুজন ব্যক্তির ডিএনএ শনাক্ত করা গেছে। এই দুজন ব্যক্তিকে তা খোঁজা হচ্ছে। আশা করি স্বল্প সময়ের মধ্যেই এ দুজনের তথ্য আপনারা জানতে পারবেন। এগুলো সামনে এলে সবকিছু সহজভাবে নেওয়া সম্ভব হবে। আপাতত কোনো বাধা নেই, উদ্দেশ্যের কোনো সংকট নেই। এ ব্যাপারে সরকারের আগ্রহের কোনো ঘাটতি দেখা যাচ্ছে না। বাকিটা ছয় মাস পর তদন্ত সম্পন্ন হলেই জানতে পারবেন।

তিনি বলেন, সরকার টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করেছে। এখানে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রয়েছেন, তাদের অনুসন্ধানের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সোমবার তাদের সঙ্গে আমার একটি মিটিং রয়েছে। এ ক্ষেত্রে একটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মামলার ১২ বছর চলে গেছে, যার অনেক তথ্য নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু ক্লু পাওয়া যাচ্ছে যার মূলকপি পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন সময়ে এটি নষ্ট হয়ে গেছে। যাই হোক, এগুলো এখনই বলা যাবে না তবে ভালো কিছু হবে এটা প্রত্যাশা।